দূরত্ব িবধি শিকেয়। কলকাতাগামী সরকারি বাসে যাত্রীদের ঢল। সোমবার চুঁচুড়ায়। ছবি: তাপস ঘোষ
শহরাঞ্চলে ভিড়ের চোটে বাসে দমবন্ধ হওয়ার জোগাড়!
গ্রামাঞ্চলে প্রায় ফাঁকা বাস ছুটছে!
সোমবার লকডাউন শিখিল পর্বের দ্বিতীয় দফায় এমন ছবিই দেখা গেল হুগলিতে। এ দিন থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিসে কর্মীদের হাজিরা বেড়েছে। রাজ্য সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জেলার বেসরকারি বাস-মালিকেরা আগাম ঘোষণা করেছিলেন, সোমবার চার মহকুমায় অন্তত ২০টি রুটে বাস চলবে। সেইমতো বাস পথেও নেমেছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে কার্যত ফাঁকা বাস চালাতে হওয়ায় দিনের শেষে মালিকেরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
কলকাতা লাগোয়া জেলা হুগলি। শহরাঞ্চলের বেশিরভাগ যাত্রীর অফিস কলকাতাতেই। চুঁচুড়া-চন্দননগর থেকে সরকারি বাস চলছে। তার সঙ্গে বেসরকারি বাস পথে নামায় যাত্রীদের হাপিত্যেশ এ দিন অনেকটাই কমেছে। কিন্তু যত যাত্রী পথে নেমেছিলেন, সেই অনুপাতে বাস ছিল না। ফলে, বাসগুলিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ছাড়া একটি বাসের দরজা দড়ি দিয়ে জানলার সঙ্গে বেঁধে রাখতে হয়।
বাঁশবেড়িয়ার বাসিন্দা সুনন্দ চৌধুরী এ দিন ওই বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘বেসরকারি সংস্থায় কাজ করি। চাকরির কোনও ভরসা নেই। কাজ হারানোর ভয়ে স্বাস্থ্যবিধিকে উপেক্ষা করে পথে নেমেছি।’’
জেলা বাস-মালিক সংগঠনের সম্পাদক আজিত খান বলেন, ‘‘হুগলিতে অন্তত ২৫টি রুটে বাস চলে। এ দিন বিভিন্ন রুটে কমবেশি ১২৫টি বাস চলেছে। যাত্রী পেলে বাসের সংখ্যা বাড়বে।’’
গ্রামাঞ্চলে যে সব বাস পথে নামে, সেগুলিতে যাত্রী হয়নি বললেই চলে। বাস পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত লোকজন জানিয়েছেন, এখন স্কুল-কলেজ বন্ধ। গ্রামাঞ্চলে অফিস-কাছারিও বিশেষ নেই। ফলে, বাসে যাত্রী হচ্ছে না।
জেলা দূরপাল্লার বাস-মালিক সংগঠনের সভাপতি মির্জা গোলাম মুস্তাফা বলেন, “অধিকাংশ বাসে ১০-১২ জন লোক হচ্ছে। লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে পরিবহণ দফতরের অনুরোধে বাস চালাচ্ছি।’’
আরামবাগ মহকুমার উপর দিয়ে বিভিন্ন রুটে প্রায় ৩০০টি দূরপাল্লার বেসরকারি বাস চলে। এ ছাড়া, বর্ধমান-সহ আটটি রুটে বাস চলে প্রায় ৪৫০টি। আরামবাগ-বর্ধমান রুটের বাস এ দিন পথে নামেনি। চুঁচুড়া-মেমারি ও পান্ডুয়া-কালনা রুটে বাস চললেও যাত্রী হয়নি।