প্রতীকী ছবি
রাজ্য সরকার নির্দেশ দিলেও রবিবার পর্যন্ত বেসরকারি বাসের দেখা মেলেনি। আজ, সোমবার থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলিতে ৭০ শতাংশ হাজিরার কথা। ফলে, বহু অফিসযাত্রীকে বেরোতে হবে। সোমবারেও কি তাঁদের ভুগতে হবে?
হুগলি জেলার বেসরকারি বাস-মালিকেরা অবশ্য আজ থেকে বাস নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা যাত্রীদের আশ্বস্ত করেছেন। একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের কাছে ভাড়া বাড়ানোর দাবি থেকে তাঁরা সরছেন না।
জেলা বাস-মালিক সংগঠনের সম্পাদক অজিত খান রবিবার বলেন, ‘‘হুগলিতে আপাতত কমবেশি ২৫টি রুটে বাস চলে। বাসের সংখ্যা অন্তত ৫০০। চেষ্টা করছি সোমবার থেকে যাতে বেশিরভাগ রুটেই বাস চলে। আমাদের আশা। পথে ১০০-১১০টি বাস নামবে। ভাড়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে আপসের জায়গা নেই। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করা যাবে না। আমরা আঞ্চলিক পরিবহণ কর্তার (আরটিও) কাছে আবেদন করেছি। বিষয়টির দ্রুত মীমাংসা চাইছি।’’ লকডাউন শিখিল হওয়ার পরে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার উদ্যোগে হুগলির জেলাসদর চুঁচুড়া ছাড়াও চন্দননগর থেকে বাস চলছে। চলছে ফেরি পরিষেবাও। উত্তরপাড়া খেয়াঘাট থেকে লঞ্চ যাচ্ছে কলকাতার ফেয়ারলি এবং চাঁদপাল ঘাটে। কিন্তু গত কয়েকদিনে বেসরকারি বাস পথে না-নামায়, মানুষের ভোগান্তি কিন্তু ঠেকানো যায়নি।
এই অবস্থায় আজ অফিসে যেতে দুর্ভোগের আশঙ্কা অনেক যাত্রীরই রয়েছে। তাঁদের আশ্বস্ত করে শ্রীরামপুর বাস-মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ রুটের ২৮৫ নম্বর বাস ছাড়াও ৪০ এবং ২৬ রুটের বাস আজ পথে নামবে। ২৬ নম্বর রুটের রাস্তা দীর্ঘদিন বেহাল। তা সত্ত্বেও যাত্রীদের কথা ভেবে ওই রুটেও তাঁরা বাস চালাবেন।
শ্রীরামপুর মহকুমা বাস-মালিক সংগঠনের সম্পাদক রঞ্জন প্রামানিক বলেন, ‘‘নওগাঁ থেকে শ্রীরামপুর হয়ে পিয়ারাপুর, জনাই, কাপাসহাড়িয়া হয়ে চণ্ডীতলার ২৬ নম্বর রুটের বাস আমরা দীর্ঘদিন চালাতে পারছি না, রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে। প্রশাসনের কাছে বার বার আবেদন করেও সুরাহা হচ্ছে না।’’ জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন লকডাউনে কাজ করা যায়নি। আমরা এখন ওই রাস্তায় দিনরাত কাজ করছি। তার উপর এখন আবহাওয়া ঠিক না-থাকায়, ওই রাস্তার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। কিছু স্থানীয় সমস্যাও ছিল।’’