টুকরো খবর

দিন কয়েক ধরে খানাকুলের কাবিলপুর গ্রামের কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থককে মারধর এবং তাঁদের জমির আলু লুঠের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সোমবার জনা কুড়ি গ্রামবাসী এ নিয়ে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হলেন। মহকুমাশাসক প্রতুলকুমার বসু বলেন, “পুলিশকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”

Advertisement
শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৩৬
Share:

বিজেপি সমর্থকদের মারধরের নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল

Advertisement

দিন কয়েক ধরে খানাকুলের কাবিলপুর গ্রামের কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থককে মারধর এবং তাঁদের জমির আলু লুঠের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সোমবার জনা কুড়ি গ্রামবাসী এ নিয়ে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হলেন। মহকুমাশাসক প্রতুলকুমার বসু বলেন, “পুলিশকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ ডিসেম্বর পুরনো একটি খুনের মামলার অন্যতম সাক্ষী ওই গ্রামের তৃণমূল সমর্থক সন্দীপ দলুইকে (৪৫) পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় অভিযুক্ত হন সন্দীপবাবুর প্রতিবেশী বিজেপি সমর্থক নিখিল দলুই, বাসুদেব দলুই, বিশু পণ্ডিত এবং তরুণ দলুই। অভিযুক্তেরা এখন জেল-হাজতে রয়েছেন। এক অভিযুক্তের পরিবারের পক্ষে শৈব্য দলুইয়ের অভিযোগ, সেই ঘটনার পর থেকেই নানা ভাবে তৃণমূল হামলা চালাচ্ছে, জমি থেকে আলু লুঠ করছে। সন্দীপবাবুর ভাই ঝড়েশ্বর দলুই অভিযোগ মানেননি। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “ওরাই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে।” কেউ কোনও ফসল নষ্ট করেনি বলেও তিনি দাবি করেছেন।

Advertisement

আজ থেকে ধর্মঘটের ডাক ৩১ নম্বর রুটে
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর

আইন না মেনে দাপিয়ে বেড়ানো গাড়ির বিরুদ্ধে অজস্র বার পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু হাজারো আশ্বাসেও সমস্যা মেটেনি। অগত্যা আজ, মঙ্গলবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন শ্রীরামপুর-জাঙ্গিপাড়া ৩১ নম্বর রুটের বাস মালিকরা। সমস্যার কথা কার্যত মেনে নিয়েছেন জেলা পরিবহন দফতরের কর্তারা। আরটিও (আঞ্চলিক পরিবহন অধিকর্তা) সৈকত দাস বলেন, “ধর্মঘট করে সমস্যার সমাধান হবে না। আমরা ওঁদের অনুরোধ করেছি যাতে পরিষেবা বন্ধ না করেন।” তাঁর বক্তব্য, “আগেও বেআইনি গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছি আমরা। ওঁদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে আবারও তা শুরু করছি। বেআইনি গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বাস মালিকদের বক্তব্য, ক্রমাগত লোকসান এড়াতে ধর্মঘট ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা নেই তাঁদের সামনে। ওই রুটের বাস মালিক রঞ্জন প্রামাণিক বলেন, “এমনিতেই পরিবহণ শিল্পের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। তার উপর বেআইনি গাড়ির দৌরাত্মে আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে।”

অবৈধ নির্মাণ ভাঙার দাবিতে পথ অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল

এলাকার একটি নয়ানজুলির উপর অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার দাবিতে সোমবার দুপুরে খানাকুলের নাঙ্গুলপাড়ায় পথ অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধ হটাতে পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, শুধু লাঠি উঁচিয়ে অবরোধাকারীদের তাড়া করা হয়। নাঙ্গুলপাড়ায় পূর্ত দফতরের জমিতে থাকা যে নয়ানজুলির উপরে অবৈধ ভাবে দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই নয়ানজুলিটি দিয়ে এলাকার অন্তত ২০০টি পরিবারের জল-নিকাশি হয়। বাসিন্দাদের দাবি, ওই নির্মাণের ফলে জল-নিকাশি ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পূর্ত (সড়ক) দফতর সূত্রে খবর, নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হয়েছে। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মহকুমা প্রশাসন নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিলেই তা কার্যকর হবে।

বিপদ জেনেও। আমতায় নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement