বিক্ষোভের মুখে লকেট। —নিজস্ব চিত্র।
নিজের লোকসভা এলাকাতেই কর্মী বিক্ষোভের মুখে পড়লেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রবিবার জন সম্পর্ক অভিযানের অঙ্গ হিসাবে রাজহাটের একটি পার্কে লকেট দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেই সময় বেশ কিছু বিজেপি কর্মী পার্কের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে বিশ্বজিৎ সাধু বলেন, ‘‘ভোটে জেতার পর একবারও এলাকায় আসেননি সাংসদ। যাঁকে মণ্ডল সভাপতি করা হয়েছে, তিনি কোনও যোগাযোগই রাখেন না। সে কথাই সাংসদকে জানাতে এসেছি।’’ বৈঠক শেষ করে ক্ষুব্ধ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন সাংসদ। তিন বলেন, ‘‘সবার সঙ্গে কথা বললাম। এক পরিবার থাকলে একটু মনোমালিন্য হয়। ভুল বোঝাবুঝি হয়। আমরা একসঙ্গে কাজ করব। কোনও বিক্ষোভ হয়নি। দলের কর্মীরা জানেন কী ভাবে সাংসদ মানুষের সঙ্গে ঘুরছেন।’’
জনসম্পর্ক অভিযানের অঙ্গ হিসাবে প্রতিদিনই কোনও না কোনও পরিবারের দাওয়ায় মধ্যাহ্নভোজন করছেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এ নিয়েও বিজেপি বনাম তৃণমূল চাপান-উতর শুরু হয়েছে জেলায়। রবিবার ব্যান্ডেলের কেওটায় এক মতুয়া পরিবারে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজন সারেন লকেট। তা নিয়ে তাঁকে বিঁধে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘‘লকেটের তো ফাইভ স্টার হোটেলে থাকা অভ্যাস। এখন নাটক করে মতুয়া বাড়িতে খেতে এসেছেন। মতুয়াদের বিদেশি বলে দেশ থেকে বার করে দিতে এনআরসি করতে চাইছে বিজেপি। সব বুঝে গিয়েছেন মতুয়ারা। এ বার বুঝিয়ে দেবে কত ধানে কত চাল।’’
তবে বিজেপি এত মানুষের সমর্থন পাচ্ছে দেখে তৃণমূলের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে বলে পাল্টা তোপ দাগেন লকেট। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। এত মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করছেন দেখে মাথা আরও বিগড়ে গিয়েছে। গত দশ বছরে মতুয়াদের জন্য কিছু করেনি ওরা। সিএএ চালু করতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে যে সব হিন্দু এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেন সেটাই করেন। মুখ্যমন্ত্রী শুধু প্রতিশ্রুতি দেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েই দশ বছর কেটে গেল।’’
রবিবার পোলবার সুগন্ধার গোটু বাজারে স্বচ্ছ ভারত অভিযানে যোগ দেন লকেট। গোটু বাজার ঝাঁট দিয়ে লকেট বলেন, ‘‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান মোদীজি নিয়ে এসেছেন। আমরা চাই, বাংলাতেও স্বচ্ছ রাজনীতি হোক। স্বচ্ছ সরকার হোক। দূর্নীতি সরাতেও স্বচ্ছতা দরকার। আমরা একসঙ্গে লড়াই করে তৃণমূলকে বাংলা থেকে হটাব।’’