Singur

ক্ষমতা বণ্টন নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে, কটাক্ষের সুযোগ ছাড়ছে না বিজেপি

তৃণমূলের ২ তরফের এই যুক্তি অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ দেখে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে স্থানীয় বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:১৮
Share:

বুথ সভাপতিকে সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোটে যিনি তৃণমূল প্রার্থীকে হারানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলেন, তাঁকেই আবার দলের বুথ কমিটির মাথায় বসানো হয়েছে। অবিলম্বে ওই দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরাতে হবে। এই দাবি তুলে তৃণমূলেরই কয়েক জন প্রচার বিক্ষোভ শুরু করেছেন। এমনই এক ঘটনা সামনে এল হুগলির সিঙ্গুর ব্লকে। আর তৃণমূলের এই অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে কটাক্ষ করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপিও।

Advertisement

অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিঙ্গুরের নসিবপুরে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ান কাজি নাসিমুর রহমান। এমনকি তৃণমূল প্রার্থীকে হারাতে দলের বিরুদ্ধে তিনি অপপ্রচারও করেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, স্থানীয় গোবিন্দপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাম কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করেন এই নাসিমুর। আর এই নাসিমুরকেই এ বার বিধানসভা নির্বাচনের জন‍্য নসিবপুরে ১৪৮ নম্বর বুথের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তের জন্য সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোবিন্দ ধাড়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নসিবপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস‍্য কাজি তোসাদ্দেক হোসেন এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মীরা। গোবিন্দ আবার পাল্টা তোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, ওই দিন বুথ কমিটির সভাপতি নির্বাচনের জন্য মিটিং ডাকা হয়। কিন্তু তোসাদ্দেক সেখানে আসেননি। যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের সবার সম্মতিতে নাসিমুরকে বুথের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

গোবিন্দ নিজেই মাত্র কয়েক দিন আগে সিঙ্গুর ব্লক সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও সেই নির্বাচন নিয়ে সবর হয়েছিলেন সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য সহ এলাকার একাধিক তৃণমূল নেতা। এ বার সেই গোবিন্দর সিদ্ধান্ত নিয়েই দলের একাংশ সরব।

তৃণমূলের ২ তরফের এই যুক্তি অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ দেখে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে স্থানীয় বিজেপি। বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সহসভাপতি মধুসূদন দাস বলেন, “সিঙ্গুরে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল যেভাবে দেখা দিয়েছে তাতে মনে হচ্ছে, এক জন অন্যের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিতে চাইছেন। যাঁদের প্রতি অবিচার হচ্ছে, তাঁরাই সোচ্চার হচ্ছেন। কে কে শেষ পর্যন্ত থাকেন দলে, সেটাই দেখার। আর যাঁরা থাকবেন তাঁরাও কতটা দলের হয়ে কাজ করবেন, তাও তৃণমূলের চিন্তার কারণ।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement