উদ্যোগ: বাক্স নিেয় মিছিল বিজেপির। —নিজস্ব চিত্র
‘নায়ক’ সিনেমায় অনিল কপূর মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেই রাস্তার ধারে অভিযোগ-বাক্স বসিয়েছিলেন।
লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারও একই পথ নিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি অভিযোগ-বাক্স বসিয়েছেন দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে দেদার অভিযোগ জমা পড়ছে বলে বিধায়ক জানিয়েছেন। আশ্বাস দিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বার এই বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ-বাক্স বসালেন বিজেপি নেতারা। তবে কি তাঁরাও অসিতবাবুর মতোই পদক্ষেপ করবেন? ওই নেতারা বলছেন, তা হবে না। ওই সব বাক্সে জমা পড়া অভিযোগ বিধায়কের কাছেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে সুরাহার জন্য।
কেন?
বিজেপির ওবিসি মোর্চার হুগলি জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউয়ের বক্তব্য, চুঁচুড়া বিধানসভা জুড়ে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে লাগানো বাক্সে চিঠি ফেলতে অনেকেই সাহস পাচ্ছেন না। সেই কারণেই তাঁরা পাঁচটি খোলা জায়গায় অভিযোগ-বাক্স লাগিয়েছেন। তিনি যোগ করেন, ‘‘বিধায়ক কথা দিয়েছেন, সব সমস্যার সমাধান করবেন। উনি সকলেরই বিধায়ক। আমরা বাক্সে যা অভিযোগ পাব, সব বিধায়কের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেব। উনি ব্যবস্থা নিলে ভাল। না নিলে বিষয়টা মানুষের সামনে তুলে ধরব।’’
সোমবার বিজেপির তরফে ঘড়ির মোড়, চুঁচুড়া ও হুগলি স্টেশন, ব্যান্ডেল মোড় এবং কেওটা বটতলায় মিছিল করে অভিযোগ-বাক্স লাগানো হয়। তাতে লেখা ‘তৃণমূলের দুর্নীতির অভিযোগ বক্স’। তার উপরে লেখা ‘জয় শ্রী রাম’। বিজেপি নেতৃত্ব জানান, কয়েক দিন পরে বাক্স খুলে অভিযোগপত্র বের করা হবে। পর্যায়ক্রমে বিধানসভা এলাকার সব জায়গাতেই বাক্স লাগানো হবে।
বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে কি বলছেন বিধায়ক অসিতবাবু?
তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওদের চিন্তার কারণ নেই। আমি সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি। সকলেই অভিযোগ জানাতে পারেন। অভিযোগ যিনিই পাঠান, ব্যবস্থা নেব।’’