জন্মদিনের ভোজ মিড-ডে মিলে

সরকারি পরামর্শ অনুযায়ী অন্য স্কুলের মতো পারুল প্রাথমিক স্কুলেও গত বেশ কয়েক বছর ধরেই ছাদে বাগান করা হচ্ছে। ওই বাগান থেকেই মিড-ডে মিলের খানিকটা সুরাহা হয়।

Advertisement

পীযূষ নন্দী

পুরশুড়া শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:০৯
Share:

সংকল্প: দেওয়াল জুড়ে লেখা। নিজস্ব চিত্র

সোমবার, স্কুলের মিড-ডে মিলে বরাদ্দ ছিল ভাত, ডাল আর আলু পোস্ত। কিন্তু আজ, পারুল প্রাথমিক স্কুলে সকলের জন্য রান্না হবে মাংস-ভাত, পায়েস, মিষ্টি, চাটনি। আজ যে সন্দীপন মান্নার জন্মদিন। এ সব খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা তাই করেছেন সন্দীপনের বাবা সমর মান্না।

Advertisement

সন্দীপন আসলে পুরশুড়ার পারুল প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। গত শনিবার সমরবাবু স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে মিড-ডে মিলে বিশেষ খাওয়া দাওয়ার প্রস্তাব দেন। তাঁর ছেলের জন্মদিনে সহপাঠী এবং অন্য পড়ুয়াদের খাওয়ার খরচটা বহন করতে চান তিনি। তবে একেবারেই অকারণে নয়। সমরবাবু বলেছেন, “ছেলেদের ভাল খাওয়াবেন বলে শিক্ষকরা ছাদে আনাজ চাষ করছেন। আবার খেলার ছলে পড়ানোর জন্য নানা পোস্টার সেঁটেছেন বাগানে। আমরা স্কুলের জন্য এটুকু করতে পারব না!”

সরকারি পরামর্শ অনুযায়ী অন্য স্কুলের মতো পারুল প্রাথমিক স্কুলেও গত বেশ কয়েক বছর ধরেই ছাদে বাগান করা হচ্ছে। ওই বাগান থেকেই মিড-ডে মিলের খানিকটা সুরাহা হয়। যদিও পারুল একটু আলাদা। সেখানে শুধু আনাজ নয়, বেশ কিছু ভেষজ গাছও লাগানো হয়েছে। ভেষজের গুণাগুণও বোঝানো হয় পড়ুয়াদের। আর সেই বিষয়টিই খুশি করেছে সমরবাবুকে। তিনি নিজেও যে একজন চাষি।

Advertisement

কিন্তু স্কুলের ভিতর এমন খাওয়া দাওয়ার আয়োজনে অসুবিধা হবে না?

প্রধান শিক্ষক বিপ্লবকুমার সামন্ত বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি যতটা নির্বিঘ্নে করা যায়। একজন অভিভাবক অন্য পড়ুয়াদের জন্য, স্কুলের জন্য এতটা ভেবেছেন তাতে আমরা শিক্ষকরা খুশি।”

আর যার জন্মদিন, সেই সন্দীপন খুশি সব থেকে বেশি। সে বলে, “বাড়িতে তো সকলকে নেমন্তন্ন করতে পারতাম না। সবাই একসঙ্গে খাব। খুব মজা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement