আন্দোলন: সিএএ-র প্রতিবাদে চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে অবস্থান তৃণমূলের। ছবি: তাপস ঘোষ
নয়া নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে পথে নেমেছে তৃণমূল। হুগলি এবং হাওড়াতেও সেই আন্দোলন চলছে। শনিবার দুই জেলাতেই বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের তরফে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছিল। পথে নামে কংগ্রেসও।
হুগলি জেলায় মোট ১৮টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে শ্রীরামপুর, চুঁচুড়া, সপ্তগ্রাম, সিঙ্গুর, হরিপাল, ধনেখালি, চণ্ডীতলা, তারকেশ্বর, খানাকুল-সহ ১৩টি বিধানসভা এলাকায় এ দিন অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল। শ্রীরামপুরের বিধায়ক সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার মানুষে মানুষে বিভেদ করতে চাইছে। তাই পথে নেমে এর বিরোধিতা করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’’ সপ্তগ্রাম বিধানসভার হারিট এবং সপ্তগ্রাম জিটি রোড মোড়ে ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তের বক্তব্য, ‘‘কর্মীদের উৎসাহেই দু’টি জায়গায় কর্মসূচি নিয়েছি। দু’টি জায়গাতেই বহু মানুষ এসেছিলেন। আসলে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করছে।’’
জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব জানান, জেলার বাকি পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ, রবিবার অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে। তিনি বলেন, ‘‘কালা কানুনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ না জানালে আগামী দিনে যে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে, মানুষ তা বুঝতে পারছেন।’’
সিএএর-র প্রতিবাদে এ দিন হাওড়া গ্রামীণ এলাকাতেও বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় ধর্না ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তৃণমূল। সব জায়গাতেই সংশ্লিষ্ট বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন। বাগনান কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে ওই কর্মসূচি পালিত হয় স্থানীয় বিধায়ক অরুণাভ সেনের নেতৃত্বে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবস্থান চলে। বিধায়ক বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে রাস্তায় নেমে এই জনবিরোধী নীতি বাংলায় চালু করতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন। তাঁর নির্দেশেই আমরাও রাস্তায় নেমেছি।’’
এ দিন জয়পুরে কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সিএএ-র প্রতিবাদ জানানো হয়। এখানে হাজির ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং আমতার দলীয় বিধায়ক অসিত মিত্র। সিএএ-কে জনবিরোধী এবং বিভেদমূলক বলে তোপ দাগেন প্রদীপবাবু। নয়া নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে এ দিন হুগলির সুগন্ধা থেকে গোটু পর্যন্ত মিছিল করে কংগ্রেস।