রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আব্দুল্লা। —নিজস্ব চিত্র।
বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে মোটরবাইকে চড়ে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন হাওড়ার এক যুবক। জখম ওই যুবকের বন্ধু। সোমবার রাতে হাওড়ার শিবপুরের ঘটনা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কয়েক জনকে আটক করা হলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ওই যুবককে খুনের কারণ নিয়েও ধোঁয়াশায় পুলিশ। ঘটনার পিছনে ব্যক্তিগত আক্রোশ রয়েছে না অন্য কারণ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত মহম্মদ আবদুল্লা (২১) শিবপুর থানা এলাকার পি এম বস্তিতে থাকতেন। রাত ৯টা নাগাদ তাঁর এক বন্ধু সাহিল আহমেদের সঙ্গে রামকৃষ্ণপুর লেন দিয়ে বাইকে চেপে যাচ্ছিলেন তিনি। সে সময়ই আচমকা পাঁচজন দুষ্কৃতী পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন আবদুল্লা। দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গিয়ে জখম হয়েছেন আবদুল্লার বন্ধু সাহিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় শিশুসন্তানকে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক মহিলা। গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁদের সামনে ছিটকে পড়ে যান বাইকআরোহী। এরপর পিস্তল হাতে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দৃশ্য ধরা পড়েছে এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরায়।
আরও পড়ুন: হাওড়ার বধূ এখন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী
আরও পড়ুন: ঘুরল ভাগ্যের চাকা, রাতারাতি কোটিপতি বড়ঞার টোটোচালক
স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছয় পুলিশ। গুরুতর জখম আবদুল্লাকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল আবদুল্লার। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আবদুল্লার মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছিল। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিবপুরের রামকৃষ্ণপুর লেনে।
এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শিবপুর থানার পুলিশ এবং হাওড়া সিটি পুলিশ ও গোয়েন্দারা। তবে ঠিক কী কারণে আবদুল্লাকে খুন করা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, আবদুল্লার সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে কি না, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজও।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে নেমে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি, বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে সন্ধ্যাবাজার এলাকায় খুন করা হয় জিজুয়া নামে এক দুষ্কৃতীকে। সেই ঘটনার বদলা নিতেই এই খুনের ঘটনা বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই খুনের ঘটনার পিছনে কে বা কারা জড়িত, তা জানতে পারেনি পুলিশ।