রেশন সামগ্রী ওজন করে এ ভাবেই দেওয়া হয়। —নিজস্ব চিত্র।
করোনা-কালে রেশনের দুই শ্রেণির উপভোক্তাপিছু চালের বরাদ্দ হয়েছে ৪ কেজি করে (রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের চাল মিলিয়ে)। কিন্তু দু’কেজি করে দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার আরামবাগের বাতানলের এক রেশন ডিলারকে ঘিরে একপ্রস্থ বিক্ষোভ হয়েছিল। বুধবার সকালেও বিক্ষোভ দেখালেন উপভোক্তারা। পঞ্চায়েতে লিখিত অভিযোগ জানান তাঁরা।
জেলা খাদ্য নিয়ামক অসীমকুমার নন্দী বলেন, ‘‘অশান্তির খবর কানে এসেছে। মহকুমা খাদ্য দফতরকে তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। রেশন সামগ্রী দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি থাকলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”
মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই রেশন দোকানে গম, আটা ও চাল দেওয়া হচ্ছিল। উপভোক্তাদের পক্ষে সৌমেন দোলুই, হারু মালিক, দীপক পণ্ডিতদের অভিযোগ, গম, আটা যথাযথ দেওয়া হলেও চাল চার কেজির বদলে দু’কেজি দেওয়া হয়।। শ’দেড়েক লোককে দেওয়ার পর বিষয়টা নজরে আসে। তারপরেই বিক্ষোভ শুরু হয় বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
ওই সময় জনপ্রতিনিধিরা সমস্যা মেটান। বাতানল পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ রায় বলেন, “অশান্তি মিটানো হয়েছে। ডিলার সজল কুণ্ডু লোক দিয়ে রেশন দোকান চালান। ত্রুটি স্বীকার করে যাঁদের মাল কম দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের নির্দিষ্ট পরিমাণ মাল দিয়েও দিচ্ছেন। তবু বিষয়টা খাদ্য দফতরে জানিয়ে রাখা হয়েছে।”
অভিযুক্ত ডিলার সজলের দাবি, “মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রথমে আরকেএসওয়াই-১ শ্রেণিভুক্ত উপভোক্তাদের মাল দিচ্ছিলেন আমাদের কর্মী। ওই শ্রেণিভুক্তদের জন্য দু’কেজি করে চাল বরাদ্দ। তারপরে ‘পিএইচএইচ’ এবং ‘এসপিএইচএইচ’ শ্রেণিভুক্ত উপভোক্তারা এলেও ৪ কেজির বদলে ভুল করে অনেককেই দু’কেজি করে চাল দেওয়া হয়। ভুল স্বীকার করে দুপুর থেকেই নোটিস দিয়ে বাকি মাল দেওয়া হয়। তারপরেও ফের ঝামেলা হল।”
তবে, উপভোক্তাদের দাবি, প্রায়ই ওই রেশন দোকান থেকে কম মাল দেওয়া হয়। ধরা পড়লে এ ভাবেই ভুল স্বীকার করে পার পেয়ে যান ডিলার। বিষয়টি নিয়ে আরামবাগ মহকুমা রেশন ডিলার সংগঠনের সম্পাদক দিলীপকুমার ঘোষ বলেন, “অন্যায় থাকলে প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক। সংগঠন এর মধ্যে জড়াবে না।”