ফাইল চিত্র।
কাজের নিরিখে ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে পূর্ত দফতরের যে ১০ জন আধিকারিক রাজ্য সরকারের পুরস্কার পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আরামবাগ মহকুমা পূর্ত (নির্মাণ) দফতরের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার নিরঞ্জন ভড়। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলল হুগলি জেলা ঠিকাদার সংগঠন।
শুক্রবার চুঁচুড়ায় সাংবাদিক বৈঠক করে ওই সংগঠনের সম্পাদক তুলতুল বসুর অভিযোগ, ‘‘নিজের পেটোয়া কয়েকজন ঠিকাদারকেই খালি কাজের বরাত দিচ্ছেন নিরঞ্জনবাবু। আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। আরামবাগে আমাদের সংগঠনের দীর্ঘদিনের কার্যালয়টি ভেঙে দেওয়ার নোটিস দিয়েছেন উনি। আরামবাগ থেকে ওঁকে সরানোর দাবি জানিয়েছি জেলা পূর্ত দফতরের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে।’’
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে নিরঞ্জনবাবুর দাবি, ‘‘সরকারি কাজের বরাত পাওয়াকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া সিন্ডিকেট ভেঙেছি। লুটেপুটে খাওয়ার রাস্তা বন্ধ। আরামবাগ-বর্ধমান রাজ্য সড়কের ধারে অবৈধ ভাবে পূর্ত দফতরের জায়গা দখল করে থাকা ওই সংগঠনের কার্যালয়টি ভেঙে ফেলার নোটিস পাঠিয়েছি। সেই ক্ষোভ থেকেই এই কুৎসা।”
জেলা পূর্ত দফতরের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণব বিশ্বাস বলেন, “লিখিত কোনও অভিযোগ পাইনি। বরবার স্বচ্ছতা এবং সম্মানের সঙ্গে কাজ করা ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযাগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।”
পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ-বর্ধমান রাজ্য সড়কটিকে চার লেনের করা হবে। সে জন্য ওই ঠিকাদার সংগঠনের কার্যালয়টি ভেঙে দেওয়ার নোটিস দেওয়া হয় ১৪ অগস্ট। একই নোটিস দেওয়া হয়েছে অন্য জবরদখলকারীদেরও।