তারকেশ্বরে যাওয়ার পথে পূণ্যার্থীদের জন্য জলসত্রের শিবিরে হাঙ্গামা বাঁধানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কয়েক জন ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি নালিকুলে। হরিপালের বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক সুমিত সরকারের নেতৃত্বে ওই জলসত্রের শিবিরে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। জলযাত্রীদের মারধরও করা হয়। শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে তিন জনকে আটক করে পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়। পাঁচ মাস আগে দলবল নিয়ে হরিপালের একটি পানশালায় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল সুমিতের বিরুদ্ধে। ঘটনার কয়েক দিন পরে সুমিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সুমিত দলবল নিয়ে পশ্চিম নালিকুলের বাগানবাটিতে একটি জলসত্র শিবিরে যান। স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যরা শিবিরটি করেছেন। সুমিতের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। অভিযোগ, সুমিত দলবল নিয়ে শিবিরে ভাঙচুর চালান। জলযাত্রীদেরও মারধর করা হয়। খেপে গিয়ে গ্রামবাসীরা সুমিত এবং তাঁর সাগরেদদের ঘিরে ধরেন। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে যায়। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। তিন জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত সুমিত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। টিএমসিপি সূত্রে অবশ্য খবর, সংগঠনের নেতাদের কাছে সুমিত জানান, ওই জলসত্র শিবিরে নেশার আড্ডা হচ্ছিল। তিনি প্রতিবাদ করাতেই গোলমাল বাধে। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, ছাত্রনেতারাই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। টিএমসিপি-র জেলা সহ সভাপতি কৌশিক শীল বলেন, ‘‘ওখানে একটা ঘটনা ঘটেছে। জেলা সভাপতি শুভজিৎ সাউয়ের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’