গরিব মানুষের নাম ভাঁড়িয়ে এক তৃণমূল নেতা ব্যাঙ্ক থেকে কয়েক কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন, এই অভিযোগে বুধবারেও সরগরম হল হরিপাল। ওই নেতার বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ হয়। ওই নেতার পক্ষ নিয়ে কিছু লোকজন মঙ্গলবার রাতে এক গ্রামবাসীকে মারধর এবং তাঁর দোকান ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। হরিপাল কলেজের এক ছাত্রনেতারও নাম জড়ায় তাতে। সেই ঘটনাতেই গ্রামবাসীরা খেপে যান। ওই নেতাকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। পুলিশ গিয়ে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়। যদিও ওই নেতার বিরুদ্ধে থানায় কোনও অভিযোগ হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বিকেলে হরিপাল স্টেশনের আশপাশের দোকানপাট বন্ধ করে দেন বিক্ষোভকারীরা। সন্ধ্যায় ব্যবসায়ীরা পাল্টা প্রতিবাদে নামেন। স্থানীয় উড়িয়াপাড়ায় রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। পুলিশ দু’পক্ষকেই নিরস্ত করে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কয়েক বছর আগে ওই নেতা হরিপাল, জাঙ্গিপাড়া-সহ নানা জায়গার বেশ কিছু লোককে ভুল বুঝিয়ে তাঁদের নামে মাথাপিছু ৯ লক্ষ টাকা করে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেন। এ ভাবে কয়েক কোটি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন। কিন্তু সেই টাকা শোধ করেননি। যে গ্রামবাসীদের নামে টাকা তোলা হয়েছে, ঋণ শোধের জন্য তাঁদের বাড়িতে ব্যাঙ্কের চিঠি আসছে। তাঁরা কৃষিঋণ বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। মঙ্গলবার বিকেলেও আশুতোষ পঞ্চায়েতের খামারচণ্ডীতে ওই নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। ওই নেতার সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মোবাইলে ফোন করা হলে এক মহিলা ফোন ধরেন। ঘটনার ব্যপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি ফোন কেটে দেন।