ধাক্কার চোটে দোমড়ানো সেই গাড়ি। ছবি: সুব্রত জানা।
ভোটের ফল প্রকাশের পরই বর্তমান শাসকের নিশানা হবেন ‘তাঁরাই’। এমন অভিযোগ কিছুদিন ধরেই বিরোধীরা করে আসছেন। আশঙ্কা যে একেবারে অমূলক নয়, ভোটের পর নানা ঘটনায় তার হাতেগরম প্রমাণ মিলেছে। সোমবার বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশের পরই হুগলিতে বিভিন্ন এলাকায় মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সব ক্ষেত্রেই অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। আরামবাগ মহকুমা ছাড়াও হুগলির কয়েকটি জায়গায় বাম কর্মী-সমর্থকদের মারধর করা হয়ছে বলে প্রশাসনের কাছে নালিশ জানিয়েছেন বাম নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার ভোটের ফল প্রকাশের পর হুগলিতে যে কোনও গোলমাল এড়াতে তাই প্রস্তুতি প্রায় সারা বলে দাবি পুলিশ-প্রশাসনের। প্রয়োজনে বাহিনীও তৈরি রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের জওয়ানদের ভারী সংখ্যায় হুগলিতে আনা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। রেল পুলিশের কর্মীদেরও আনা হয়েছে বিশেষ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে। হুগলির পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘যে কোনও পরিস্থিতি শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।’’
সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘ভোটের ফল প্রকাশে এখনও কিছুটা দেরি। কিন্তু সমীক্ষার পরই তো জেলার নানা জায়গায় মারধর শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই আক্রান্ত আমাদের কর্মীরা।’’ যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘সিপিএম নেতৃত্ব অযথাই আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। আমরা আমাদের কর্মী-সমর্থকদের সংঘত থাকতে বলেছি। স্থানীয় নেতাদের সর্তক থাকতে বলেছি।’’