সুবীর মুখোপাধ্যায়কে আবির দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা। নিজস্ব চিত্র
গত দু’বছরে পঞ্চায়েতে জানিয়ে যে সমস্যার সমাধান হয়নি, তা মিটে গেল দু’দিনেই।
পান্ডুয়ার সিমলাগড়-ভিটাসিন পঞ্চায়েতের সিমলাগড় থেকে আয়মার পর্যন্ত আট কিলোমিটার রাস্তার টেন্ডার করল জেলা পরিষদ। হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত থাকতে গ্রামবাসীকে রাস্তা সারাতে হচ্ছে, এটা মানা যায় না। জেলা পরিষদ থেকে প্রায় এক কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা অনুমোদনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কাজের টেন্ডার এই মাসেই হবে। কয়েক দিনের মধ্যেই কাজও শুরু হবে।’’
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অধীনে আট কিলোমিটারের এই রাস্তাটি পিচের করা হয়। এর মাঝে ওই রাস্তায় আর কোনও সংস্কার হয়নি। ২০১৮ সাল থেকে রাস্তাটি খারাপ হতে থাকে। রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্ত হয়ে যায়। সামান্য বৃষ্টি হলে গর্তে জল জমে। রাস্তার ধারে আলো নেই। সন্ধ্যার পরে অন্ধকারে যাতায়াতে মুশকিলে পড়েন পোঁটবা, গ্রামগোয়াল, উত্তরখণ্ড, আয়মা, গোয়াড়া, চম্পকডাঙা-সহ ২৪টি গ্রামের মানুষ।
ভাঙা রাস্তা নিয়ে গত দু’বছর ধরে পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানিয়ে জানিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। তারপরও পান্ডুয়ার সিমলাগড়-ভিটাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের টনক নড়েনি। তাই প্রশাসনের উপর আর ভরসা না রাখতে পেরে গত রবিবার থেকে ইট, ঘেঁস ফেলে রাস্তা সংস্কার শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। সোমবারও চলে কাজ। খবরটি আনন্দবাজারে প্রকাশের পরই শোরগোল পড়ে।
বুধবার দুপুরে হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় সিমলাগড় গ্রামে এসে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। বেহাল রাস্তাও ঘুরে দেখেন। তাঁর প্রতিশ্রুতি পেয়ে খুশি গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামবাসীরা তাঁকে মালা পরিয়ে আবিরের তিলক কেটে দেন কপালে। বিলি করা হয় মিষ্টিও। বাসিন্দা প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বহুবার পঞ্চায়েত জানিয়েও কাজ না হওয়ায় আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তা সারাই করেছিলাম। রাস্তাটির সংস্কার হলে মানুষ উপকৃত হবেন।’’
সিমলাগড়-ভিটাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেজিনা খাতুনকে এ দিনর ফোন করেও উত্তর মেলেনি।