বিক্ষত: দুমড়ে গিয়েছে ট্রেলরটি। নিজস্ব চিত্র
চাকা ফেটে গিয়েছিল লোহা বোঝাই ট্রাকের। ফলে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি সরে গিয়েছিল রাস্তার ডান দিকে। পিছনে আসা ট্রেলার–চালকও নিয়ন্ত্রণ হারান। ট্রেলারটি ধাক্কা মারে ট্রাকে। প্রাণ যায় চার জনের।
শুক্রবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গুড়াপে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। মৃতদের মধ্যে তিন জনের পরিচয় পুলিশ জানাতে পেরেছে। তাঁরা হলেন শঙ্কর রায় (৪৫), সৎনাম সিংহ (৪০), বলবিন্দর সিংহ (৪২)। শঙ্করবাবুর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের কাছে। অপর দু’জন পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার গোবিন্দনগরে থাকতেন। বিকেল পর্যন্ত মৃত অন্য জনের পরিচয় পুলিশ জানাতে পারেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর থেকে লোহা নিয়ে ট্রাকটি নদিয়ার কল্যাণীতে যাচ্ছিল। ভোর তিনটে নাগাদ গুড়াপের মাজিনান সেতুতে ওঠার মুখে সেটির সামনের ডান দিকের চাকা ফেটে যায়। ফলে, ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডান দিকে সরে আসে। তখনই পিছন দিক থেকে প্রবল গতিতে বিদ্যুতের খুঁটি বোঝাই ট্রেলারটি এসে ট্রাকটিকে ধাক্কা মারে। ট্রেলারটি আসানসোল থেকে কলকাতায় যাচ্ছিল। সংঘর্ষের অভিঘাতে দু’টি গাড়িই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দু’টি গাড়িতে থাকা চার জন মারাত্মক ভাবে জখম হন। সংঘর্ষের আওয়াজে স্থানীয় বাসিন্দারা চলে আসেন। খবর পেয়ে গুড়াপ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আহতদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই চার জনের মৃত্যু হয়। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানান, শঙ্করবাবু ছিলেন ট্রাকের চালক। ট্রেলারটি চালাচ্ছিলেন সৎনাম। বলবিন্দর ছিলেন সেটির খালাসি। মৃত অপর ব্যক্তিও ছিলেন ট্রেলারে। ট্রাকের খালাসি অবশ্য অক্ষতই রয়েছেন। দুর্ঘটনার জেরে ওই রাস্তার কলকাতামুখী লেনে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি দু’টি সরানোর পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তদন্তকারী অফিসাররা মনে করছেন, দু’টি গাড়িই অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলছিল। আচমকাই ট্রাকের চাকা ফেটে যাওয়ায় চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। ট্রেলারটিও গতি কমানো বা দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি।