প্রতীকী চিত্র
ওড়িশা থেকে ৩২ কেজি গাঁজা নিয়ে ফেরার সময়ে ব্যান্ডেল স্টেশনে রেল পুলিশের হাতে ধরা পড়ল বলাগড়ের খামারগাছির তিন মহিলা।
মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনায় ধৃত আলো রায়, শিখা সরকার এবং পুষ্প হালদারের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা ওই গাঁজার বাজারদর প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বলে তদন্তকারীদের দাবি। রেল পুলিশের ডিএসপি (সদর) শিশির মিত্র বলেন, ‘‘গাঁজা আদান-প্রদানের কাজ আগে পুরুষরাই করত। কিন্তু ট্রেনে বিশেষ চেকিংয়ের ভয়ে তারা মহিলাদের কাজে লাগাচ্ছে।’’
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার বিভিন্ন এলাকা থেকে কম দামে গাঁজা কিনে ওই তিন মহিলা দু’টি চায়ের ব্যাগে সাতটি প্যাকেটে পুরে নিয়ে এ দিন হাওড়ায় আসে। তারপরে লোকাল ট্রেন ধরে ব্যান্ডেলে এসে নামে। ব্যান্ডেল থেকে কাটোয়া লোকাল ধরে তাদের খামারগাছি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। রেল পুলিশের বিশেষ দল ওই স্টেশনে হানা দেয়। তিন মহিলা কাটোয়া লোকাল ধরতে যেতেই তাদের আটক করা হয়। ব্যাগ পরীক্ষা করতেই মেলে গাঁজা। জেরায় তিন জন অপরাধের কথা কবুল করেছে বলে তদন্তকারীদের দাবি।
ধৃতদের বুধবার চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধৃত মহিলারা গাঁজা আদান প্রদানের কাজে লিপ্ত থাকার কথা কবুল করে। ধৃত শিখা এ দিন আদালত চত্বরে বলে, ‘‘পুলিশের ভয়ে ছেলেরা এখন গাঁজা আনতে চায় না। টাকার বিনিময়ে আমরাই করি। ওড়িশা থেকে আনা গাঁজা খুচরো দরে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়।’’