ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে দু’জনের ১০ বছর জেল

প্রায় বাইশ বছর আগে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে চকোলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের দায়ে দুই ব্যক্তির দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত। সোমবার চন্দননগর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক আরতি শর্মা রায় সিঙ্গুরের নসিবপুরের ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা প্রশান্ত পাল ওরফে হাবু এবং মদন ধাড়া নামে ওই দু’জনকে সাজা শোনান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দননগর শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৫ ০০:২০
Share:

প্রায় বাইশ বছর আগে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে চকোলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের দায়ে দুই ব্যক্তির দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত। সোমবার চন্দননগর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক আরতি শর্মা রায় সিঙ্গুরের নসিবপুরের ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা প্রশান্ত পাল ওরফে হাবু এবং মদন ধাড়া নামে ওই দু’জনকে সাজা শোনান। গত শনিবার তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯২ সালের ১১ এপ্রিল নসিবপুরের বাসিন্দা বছর তেরোর ওই ছাত্রী সন্ধ্যায় গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাচ্ছিল। সেই সময় রাস্তায় তার সঙ্গে প্রশান্ত এবং মদনের দেখা হয়। দু’জনেই ছাত্রীর পূর্ব পরিচিত। ছাত্রীটিকে চকোলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মদনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ধর্ষণের পরে প্রশান্ত এবং মদন ছাত্রীটিকে একটি পুকুরের পাড়ে ফেলে দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালায়।

রাত বাড়লেও ছাত্রীটি না ফেরায় পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েন। চারদিকে খোঁজাখুঁজির পরেও না পাওয়ায় তাঁরা সিঙ্গুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরের দিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ছাত্রীটিকে পুকুর পাড়ে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর ওই ছাত্রীর কাছ থেকে ঘটনার কথা জানতে পেরে তার বাবা প্রশান্ত ও মদনের নামে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করে। পরে তারা জামিন পায়।

Advertisement

মামলার সরকারি আইনজীবী নাসিম হালদার বলেন, ‘‘বিচারক ওই দু’জনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। অনাদায়ে আরও এক বছরের জেল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement