চলছে শুটিং। — নিজস্ব চিত্র।
ইন্দো-ডেনিশ নির্মাণ শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা নিয়ে তুলনাভিত্তিক একটি তথ্যচিত্র তৈরি করতে চলেছে ‘ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়ন’ (ডব্লিউএফটিইউ)। সেই কাজেই বামপন্থী এই আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের দুই ডেনিশ সদস্য এমিল ওলসেন ও আন্দ্রেয়াস বুঁলো হ্যানসেন বৃহস্পতিবার চুঁচুড়ায় এলেন। তাঁরা জানান, দু’দেশের নির্মাণ শ্রমিকদের কাজের ক্ষেত্রে মিল, সুবিধা-অসুবিধার বিষয় তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হবে। যাতে শ্রমিকদের খামতি দুই দেশের সরকারেরনজরে আসে।
এ দিন প্রথমে চুঁচুড়ার গড়বাটীর একটি ক্লাবঘরে দুই বিদেশিকে স্বাগত জানান এ দেশের বাম শ্রমিক সংগঠন সিটু-র জেলা কমিটির সদস্যেরা। সেখানে সিটুর প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করেন ডব্লিউএফটিইউ-র প্রতিনিধিরা। বৈঠক শেষে তালডাঙায় নির্মীয়মাণ ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্প এলাকায় ঢুকে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওই প্রতিনিধিরা। কাজের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারিক বিষয়েও নানা তথ্য সংগ্রহ করেন। ছবিও তোলেন।
ওলসেন বলেন, ‘‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্মাণ শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি সুযোগ-সুবিধাও থাকে না। তথ্যচিত্রের মাধ্যমে আমরা ডেনিশ ও ভারতীয় শ্রমিকদের বিভিন্ন দিক তুলে ধরব।’’
সিটু-র রাজ্য কমিটির সম্পাদক দেবাঞ্জন চক্রবর্তী জানান, এ দেশের নির্মাণ শ্রমিকরা সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে ৬০ বছর বয়স থেকে পেনশন পেলেও ডেনমার্কের শ্রমিকেরা পান ৭৪ বছর বয়স থেকে। তাই ডেনিশদের তুলনায় কিছু ক্ষেত্রে এ দেশের নির্মাণ শ্রমিকরা লাভবান। সেটাও তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হবে।