প্রাপ্য: বকেয়ার দাবিতে মিছিল। নিজস্ব চিত্র
বছর শেষ হতে চলল। চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল খোলার নাম নেই। চলতি বছরের গোড়া থেকে ফের মিল বন্ধ হয়েছে। অবিলম্বে মিল চালু এবং বকেয়া টাকার দাবিতে শুক্রবার চন্দননগরের মহকুমাশাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখালেন মিলের শ্রমিক পরিবারের সদস্যেরা। স্মারকলিপি দেওয়া হয় মহকুমাশাসককে।
২০০৯ সাল থেকে ওই মিল বারবার বন্ধ হয়েছে, আবার খুলেছে। চলতি বছরের প্রথম দিন শ্রমিক অসন্তোষ এবং কাঁচামালের অভাবকে কারণ দেখিয়ে মিল কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করে দেন। মিলের প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক বিপাকে পড়েন। বর্তমানে তাঁরা প্রবল অর্থসঙ্কটের মধ্যে রয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকেরাও বকেয়া পাননি বলে অভিযোগ।
চন্দননগরের ‘শ্রমিক কল্যাণ সমিতি’র উদ্যোগে এ দিন মিলের শ্রমিক পরিবারের সই সংগ্রহ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। তারপরে চন্দননগর গির্জা সংলগ্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ-মিছিল যায় মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে। সই সংবলিত স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
মহকুমাশাসক অয়ন দত্তগুপ্ত বলেন, ‘‘শ্রম দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে অবিলম্বে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। এ বিষয়ে মিল কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিত জানানো হবে।’’ মিলের এক অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকের খেদ, ‘‘২০০৬ সালে অবসর নেওয়ার পর থেকে কোনও বকেয়া মেলেনি। পাওনা মেটাতে কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী নন। অনেক আন্দোলনই হল, কোনও কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। কাঠকুটো জ্বালিয়ে রান্না করতে হচ্ছে বাড়িতে।’’
শ্রমিক কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মিল চালু এবং কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক পরিবারের পক্ষ থেকে বকেয়া টাকার দাবিতে অনেক আন্দোলন এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তাতেও মিল কর্তৃপক্ষের হেলদোল নেই। মিল খোলা-বন্ধের রাজনীতিতে শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের প্রাণ যেতে বসেছে।’’