হাওড়া পুরসভা। ফাইল চিত্র।
পেনশন বাবদ পুরো টাকা না পেয়ে বুধবার থেকে হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সনের ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করলেন সেখানকার অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রায় ১৫০ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী তাঁদের প্রাপ্য পেনশনের টাকা দীর্ঘদিন ধরে পাচ্ছেন না। ফলে চরম দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। প্রাপ্য টাকা মেটানোর দাবিতে তাঁরা এই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন। আগামী তিন দিন ধরে এই বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
ওই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের অভিযোগ, পেনশনের টাকা চাইতে গেলে পুর কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানাচ্ছেন, পেনশন দেওয়ার মতো টাকা পুরসভার তহবিলে নেই। কেউ তিন বছর, কেউ বা চার বছর পরেও পেনশন পাচ্ছেন না।
শ্যামলকুমার রায় নামে অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মচারী এ দিন বলেন, ‘‘পুর কর্তৃপক্ষকে বার বার জানিয়েও ফল না হওয়ায় দেড় বছর আগে থেকে আমরা প্রাপ্য পেনশনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলাম। এ নিয়ে পুরসভা চত্বরে বহু বার মিছিল, সভা করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় অবশেষে আমরা বিক্ষোভ-অবস্থান শুরু করলাম।’’
এ প্রসঙ্গে হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে অনেক বারই তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৫০ জনের মধ্যে ১৩০ জনের বকেয়া গ্র্যাচুইটির টাকার অনেকটাই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের বাকি যা প্রাপ্য রয়েছে, তা-ও ধীরে ধীরে মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বকেয়া মেটাতে পুরসভা প্রায় তিন কোটি টাকা ইতিপূর্বেই খরচ করেছে। তা সত্ত্বেও কেন অবস্থান-বিক্ষোভ হচ্ছে জানি না।’’
চেয়ারপার্সনের আরও বক্তব্য, পুরসভার আর্থিক সমস্যা রয়েছে ঠিকই। কিন্তু এর মধ্যেও বছরে ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা পেনশন বাবদ দেওয়া হচ্ছে।