মত্ত অবস্থায় স্ত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। —প্রতীকী চিত্র।
স্বামীকে মদ খেতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি মদ খাবেনই। প্রথমে স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি, তার পর তাঁকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। নদিয়ার হাঁসখালির এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা এলাকায়। ক্ষোভে অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করলেন প্রতিবেশীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হাঁসখালি থানার গোবিন্দপুর কলোনির উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা পুণ্য মণ্ডলের সঙ্গে কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় পিঙ্কি মণ্ডলের। বিয়ের পরেই পিঙ্কি জানতে পারেন স্বামী পানাসক্ত। এ নিয়ে সংসারে প্রায়শই অশান্তি হত। দম্পতির কলহ মেটাতে সালিশি সভাও বসে। কিন্তু তবু মদের নেশা ছাড়তে পারেননি পুণ্য।
শুক্রবার রাতে মদ্যপান করে ঘরে ঢোকেন পুণ্য। তা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হয়। এর পর মত্ত অবস্থায় স্ত্রীকে কাঠের বাটাম দিয়ে তিনি বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। মাথায় চোট পান পিঙ্কি। মারের চোটে তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীরা তাঁকে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে পরে কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ওই বধূর।
অন্য দিকে, স্ত্রীর মৃত্যুর খবর গোপন রাখতে তড়িঘড়ি দেহ সৎকারের সিদ্ধান্ত নেন পুণ্য বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁরা এই খবর জানতে পেরে পুণ্যের বাড়িতে ভাঙচুর চালান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হাঁসখালি থানার পুলিশ। পুলিশি আশ্বাসে বিক্ষোভ প্রশমিত হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে রানাঘাটের পুলিশ সুপার কে কান্নান বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’