—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চারপাশের জগৎ বদলে যাচ্ছে দ্রুত। চন্দননগরের মা জগদ্ধাত্রীও কোথাও কোথাও বদলে যাচ্ছেন।
নবীনেরা আলো, রং, রেখা, সুর আরও কত কী দিয়ে থিমের এক নতুন জগৎ তৈরি করছে। এই পরিবর্তনের মধ্যে চন্দননগরের ঐতিহ্য বিশাল উঁচু প্রতিমা, সাদা শোলার অপরূপ সাজ, গম্ভীর মুখ, কাঁধে নাগযজ্ঞোপবীত, সিংহের উপর বসা শঙ্খ-চক্র-ধনুক-বাণ নিয়ে চতুর্ভুজা মূর্তি প্রায় অক্ষত থাকলেও পাল্টে যাচ্ছে জগদ্ধাত্রীর গায়ের সদ্য উত্থিত সূর্যের মতো রং, টানা-টানা চোখ, গোল-পানা ভরাট মুখ। যুদ্ধরতা উগ্র নয়, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী শান্ত, গৃহিণী, মহালক্ষ্মী, ঘরের মা, সাত্ত্বিক হৈমবতী।
শহর এখন উৎসবে মাতোয়ারা। উৎসবের দাপটে চন্দননগরের আলোর বিবর্তন, পরিবেশ সচেতনতা, আলপনার অলঙ্করণ সারা বিশ্বে উদাহরণ হয়ে গিয়েছে। জগদ্ধাত্রীর অঙ্গে কোনও সংস্থার অলঙ্কারের বিপণনও দর্শনীয়। থিমপুজো চালু হওয়ার সময়েও অনেক কথা উঠেছিল। পরে সবাই তা সাদরে গ্রহণ করেছেন। পুজোর বিধিতে এতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। চন্দননগরের অঙ্কনশিল্পী, ভাস্কররা তাঁদের নন্দনতত্ত্ব ফুটিয়ে তুলছেন মণ্ডপে। মূর্তিতেও। নানা থিমে চন্দননগর এখন উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা। যত বৈচিত্রময় আয়োজন, যত আনন্দ। ততই মানুষের মেলা, ব্যবসা, বিনোদন।
শিল্পীদের অভিনব থিমের মূর্তি আর মণ্ডপ মিলিয়ে এক অভিনব চালচিত্র ধরা দিচ্ছে। ইতিহাসের নানা পিছুটান থাকলেও ঐতিহ্যের এই রূপান্তরকে অগ্রাহ্য করার তাই উপায় নেই। বরং সশরীরে ও ভার্চুয়ালি স্বাগত জানাচ্ছেন অনেকে।