কথাবার্তা: বাগদার হেলেঞ্চা হাইস্কুল মাঠে যুবকদের আলোচনা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
সুরজিৎ মল্লিক: ভোট কিন্তু চলে এল। মনে হচ্ছে মে মাসেই ভোট হয়ে যাবে।
মৃদুল বিশ্বাস: দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চলছে। সামনে ঈদ। এ সব মিটলে ভোট ঘোষণা হয়ে যাবে।
অভিজিৎ বারুই: ভোট এলে আমার তো ভয় ভয়ই করে। গত ভোটে কী রকম সন্ত্রাস হয়েছিল আমাদের এখানে, মনে আছে? সকাল থেকে বহিরাগতদের দাপাদাপি চোখের সামনে দেখেছি। আমডোবে বোমা-গুলি চলেছিল বলে শুনেছিলাম। ব্যালট লুট হয়। কয়েকটি জায়গায় ফের ভোট নিতে হয়েছিল। হিংসায় অনেকে জখম হন।
রাহুল বারুই: এ বার তেমন পরিবেশ যেন না হয়, সে আশাই করছি।
অভিজিৎ: কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভাল হয়।
মৃদুল: কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্য পুলিশ— যারাই থাকুক, আমরা চাই মানুষ যেন উৎসবের পরিবেশে ভোটটা দিতে পারেন।
সুরজিৎ: ভোট না হয় সকলে দিলাম, কিন্তু স্থানীয় সমস্যাগুলি কি মিটবে?
সহিষ্ণুকুমার বিশ্বাস: বাগদা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে আরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দরকার। চিকিৎসা পরিষেবা আরও উন্নত করতে হবে। হাসপাতালে রোগী নিয়ে গেলেই বনগাঁয় রেফার করে দেয়।
জয় বিশ্বাস: শুধু কি হাসপাতাল! আমাদের এখানে সরকারি চাকরির কোচিং সেন্টার দরকার। এখনও অনেক ইটের রাস্তা আছে। সেগুলো ঢালাই এবং পাকা করতে হবে। একটি আইটিআই কলেজ আছে। তার কাছে ইটের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা যায় না। বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দিতে পাইপ লাইন বসানো হচ্ছে। সে কাজ দ্রুত শেষ হওয়া দরকার। সরকারি হিমঘর চাই। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে।
সুরজিৎ: সবার আগে দরকার কর্মসংস্থানের সুযোগ। সকলে হয় তো সরকারি চাকরি পাবে না। তবে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার সুযোগ দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা উচিত।
মৃদুল: আমপানে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তেরা অনেকে ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। আবাস যোজনার তালিকায় অনেক গরিব মানুষদের নাম নেই। বড়লোকদের নাম আছে। এ সব বিষয় নিশ্চয়ই ভোটারদের মাথায় ঘুরছে।
সুরজিৎ: শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে আমাদের বাগদা তো কুখ্যাত হয়ে গিয়েছে! আমার তিন আত্মীয় টাকা দিয়ে চন্দন বিশ্বাসের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিল। এক জনের চাকরি চলেও গিয়েছে।
মৃদুল: প্রকৃত যারা যোগ্য, সরকার তাদের চাকরির দিক।
সুরজিৎ: এটা একদম খাঁটি কথা।