প্রতীকী ছবি।
করোনা চিকিৎসায় বিধির বাইরে গিয়ে এক রোগীর থেকে অতিরিক্ত বিল নেওয়ার অভিযোগে উত্তরপাড়ার ‘উই কেয়ার’ নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই রোগীর বিল বাবদ ৩৫ হাজার টাকা ছেড়ে দিতে বলেছে কমিশন। তা ছাড়াও, রোগীর বকেয়া ৩০ হাজার টাকা নার্সিংহোমকে কিস্তিতে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফে অনুপ সাক্সেনার দাবি, ‘‘এক কোভিড রোগী বাড়তি বিল ও ওষুধের দামে ছাড় না-দেওয়ার অভিযোগে কমিশনে গিয়েছিলেন। আমাদের বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণ হয়নি। কমিশনের নির্দেশ আমরা মেনে নিয়েছি।’’
অতিরিক্ত বিল নেওয়ার অভিযোগে রাজ্যের মোট সাতটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। তার মধ্যেই রয়েছে উত্তরপাড়া স্টেশনের কাছে ওই নার্সিংহোমটি।
মানুষ বিপদে পড়ে নার্সিংহোমে যান। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই কোনও নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না-করে রাজ্যের এক শ্রেণির নার্সিংহোম রোগীদের থেকে বাড়তি বিল নেয় বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার নামী বেসরকারি হাসপাতাল এবং বহু নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে ডেকে এই সব অভিযোগের ব্যাপারে সতর্ক করে দেন। এরপরই নার্সিংহোমগুলির উপর নজরদারি চালাতে সরকারি ভাবে কমিশন গঠন করা হয়। প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সাত নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে বেহিসেবি শয্যাভাড়া নেওয়া ছাড়াও ওষুধের ক্ষেত্রে রোগীর বাড়ির লোকজনকে বিধিবদ্ধ ছাড় না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের মুখেও মাঝেমধ্যেই পাল্টা অভিযোগও শোনা যায়। যেমন, অনেক সময় বিলের যথাযথ টাকা মেটানো হয় না, রোগী মারা গেলে নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে নানা ওজর-আপত্তি তোলা ইত্যাদি। সেই সব ক্ষেত্রে মানবিক কারণে অনেক সময়ই কিছু বলার থাকে না। আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করেও বিল বাবদ পাওনা ছেড়ে দিতে হয় বলে তাঁদের দাবি।