প্রতীকী ছবি।
মত্ত অবস্থায় কাজে আসার অভিযোগে বৃহস্পতিবার আরামবাগের ডিহালপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুণকুমার সিংহকে বের করে দিয়েছিলেন গ্রামবাসী। তিনি যাতে কাজে না আসেন, সেই দাবিতে ফের শুক্রবার সকাল থেকে বিদ্যালয়ের ফটকে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। প্রধান শিক্ষক অবশ্য এ দিন বিদ্যালয়ে আসেননি।
সকাল ১০টা থেকে মূল ফটকে তালা মারার জেরে পড়ুয়া এবং শিক্ষিক-শিক্ষিকারা বিদ্যালয়ে ঢুকতে পারেননি। শিক্ষকদের তরফে বিষয়টি বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং স্থানীয় মলয়পুর-২ পঞ্চায়েত প্রধানকে জানানো হয়। আরামবাগ ব্লকের সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) কৌশিক মালিক গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তারপরও গ্রামবাসী বিক্ষোভ থামাননি। পঞ্চায়েত প্রধান শাহ মহম্মদ রফিক দুপুর সাড়ে ১২টা তালা খোলার ব্যবস্থা করেন।
ব্লকের সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) কৌশিক মালিক বলেন, “গ্রামবাসীদের দাবি ছিল, ওই শিক্ষক যাতে আর কাজে না আসেন। সেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষককে যাতে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা যায় সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর কাছে পাঠিয়েছি। একই সঙ্গে প্রধান শিক্ষককে শো-কজ় করে আগামী সোমবারের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।” যদিও শুক্রবার রাত পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত কোনও অভিযোগ গ্রামবাসীদের তরফে মেলেনি বলে তিনি জানান। এ দিনের বিশৃঙ্খলার জেরে বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল বন্ধ ছিল। মোট ৮৫ জন পড়ুয়ার মধ্যে এ দিন হাজির ছিল ৭৭ জন। তাদের দুপুরে বাড়ি গিয়ে খেতে বলেন শিক্ষকরা।
বছর তিনেক ধরে প্রায় মত্ত অবস্থায় কাজে আসার অভিযোগ ছিল আরামবাগের মলয়পুর-২ পঞ্চায়েতের ডিহালপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুণকুমার সিংহর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে গ্রামবাসীরা বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। বছর বিয়াল্লিশের অরুণবাবু ১২ বছরের বেশি সময় ধরে ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে কাজ করছেন। তাঁর সহকর্মীরা জানিয়েছেন, অতীতে পঠনপাঠন এবং বিদ্যালয় সংক্রান্ত কাজকর্ম নিয়ে তাঁর সুনাম ছিল।প্রধান শিক্ষকের তরফে তাঁর স্ত্রী তনুশ্রী এ দিন ব্লক বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর চিঠি নিয়ে যান। তিনি জানান, অরুণবাবুর মানসিক এবং নেশা কাটানোর চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর তিনি আরও অসুস্থ হয়ে গিয়েছেন।