কোন্নগরে রোড-শো কাঞ্চনের।
তিনি এ তল্লাটের বাসিন্দা নন। থাকেন কলকাতার টালিগঞ্জে। তাই তাঁকে যে ‘বহিরাগত’ তকমা দেওয়া হচ্ছে, উত্তরপাড়ায় তৃণমূলের ‘তারকা’ প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিক বিলক্ষণ জানেন। প্রচারে এসে তিনি নিজেই সে কথা পরিষ্কার করে দিলেন। ভোট-ময়দানে নবাগত এই অভিনেতা সেই প্রসঙ্গেই কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না এখানকার বিদায়ী বিধায়ক, অধুনা বিজেপি নেতা প্রবীর ঘোষালকে।
শনিবার সকালে ভদ্রকালীর সখেরবাজারে জিটি লাগোয়া বলাকা মাঠে প্রচার-সভায় বক্তব্য পেশ করছিলেন কাঞ্চন। ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব ঘোচাতে মঞ্চে বসা স্থানীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখিয়ে কাঞ্চন বলেন, ‘‘উনি বাঁকুড়ার বাসিন্দা। উনি কিন্তু বুক দিয়ে আপনাদের আগলে রেখেছেন।’’ তার পরেই প্রবীরের উদ্দেশ্যে খোঁচা,, ‘‘আর যিনি উত্তরপাড়া বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন, সেই পাখি কিন্তু উড়ে গিয়ে অন্য ডালে বসেছেন। আমি গত দশ বছর দিদির সঙ্গে ছিলাম। আশ্চর্য হয়ে দেখলাম, সুখের সময়ে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন সরে গিয়েছেন। তাই এ বার ভোটে লড়ছি।’’ এর পরেই কার্যত সংলাপের ঢঙে বলে ওঠেন, ‘‘আমি দেখতে রোগা, কিন্তু আসলে ভেতরে দারোগা।’’ হাততালি ফেটে পড়ে।
দুই পুরসভা এবং তিনটি পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ে বিস্তৃত উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র। কাঞ্চন ইতিমধ্যেই উত্তরপাড়া শহরের গোটা চারেক পদযাত্রা সেরে ফেলেছেন। বেশ কয়েকটি কর্মিসভা, ঘরোয়া বৈঠক করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি কোন্নগর কলোনি এলাকার ১৮, ১৯ এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডে রোড-শো করেন। বাংলা সিনেমায় কৌতুকের জন্য পরিচিত এই মুখকে দেখার জন্য ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মানুষের সাড়ায় অভিভূত কাঞ্চনের কথায়, ‘‘আমি নিশ্চিত, উত্তরপাড়ার মানুষ আমায় দু’হাত ভরে আর্শীবাদ করবেন।’’