এই ওয়ার্ড অফিসকে । নিজস্ব চিত্র
হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড-অফিসের ছাদে রবিবার একটি পরিবারিক অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এলাকাবাসীর সন্দেহ, মিলন পার্কের ওই অফিস ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। সেখানে মদের আসর বসেছিল বলেও তাঁদের অভিযোগ। ওই অনুষ্ঠানের কথা পুর কর্তৃপক্ষের কাছেও পৌঁছেছে। মদের আসর নিয়ে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ভাড়া দেওয়ার কথা মানেননি ওই ওয়ার্ডের তৃণমূলের পুর প্রতিনিধি (কাউন্সিলর) সরস্বতী পাল। তাঁর দাবি, ‘‘এলাকার একটি গরিব পরিবারের অনুষ্ঠানের জন্য বিনা পয়সায় অফিসটি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছিল।’’ মদের আসর বসার বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। পুরপ্রধান অমিত রায় বলেন, ‘‘কোনও গরিব পরিবারকে ওই অফিসের ছাদ ব্যবহার করতে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু মদের আসর কেন বসবে?’’
পুরসভা সূত্রের খবর, ওয়ার্ড কমিটির দায়িত্বেই থাকে ওই অফিসটি। সেখানে এলাকার সাধারণ মানুষ পুর পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের জন্য যান। চার নম্বর ওয়ার্ডে অবশ্য কোনও ওয়ার্ড কমিটি নেই। সরস্বতীই ওই অফিসে বসেন। সোমবার সেখানে গিয়ে দেখা গেল, তেতলার ছাদে প্যান্ডেল খাটানো। আগের দিনের খাবারের গন্ধ রয়েছে। ছাদে পড়ে বিয়ারের বোতল। ছাদময় খাবারের অবশিষ্ট অংশ।
পুর পারিষদ (স্বাস্থ্য) জয়দেব অধিকারী জানান, ভাড়া দেওয়ার জন্য ওই ওয়ার্ডে একটি কমিউনিটি হল রয়েছে। যদি কাউকে বিনা পয়সায় ব্যবহার করতে দেওয়া হয়, তবে অবশ্যই পুরসভার অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা-ও করা হয়নি।"
সুর চড়িয়েছে বামেরা। শহরের সিপিএম নেতা সমীর সরকারের কটাক্ষ, ‘‘নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটা গলায় আটকেছে ওদের (তৃণমূলের)। আয়ু বেশি দিন নেই। তাই যেমন খুশি তেমন ভাবে কামাতে পারলেই হল।’’