Water Crisis

জল পড়ে না ট্যাপকলে, গরমে অতিষ্ঠ বহু মানুষ

পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে এই পঞ্চায়েতের ক্ষুদিরাম বোস রোডে। বাসিন্দারা জানান, এই এলাকায় জল সরবরাহ করে কেএমডিএ। যদিও দীর্ঘদিন ধরেই ট্যাপকলে জলের চাপ কার্যত নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোন্নগর শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৩৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP

প্রত্যন্ত জনপদ নয়। বরং কোন্নগর ঘেঁষা নবগ্রাম পঞ্চায়েত অনেকটাই শহর হয়ে উঠেছে। জনজীবনে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও এই পঞ্চায়েতের একাংশে জলকষ্টে ভুগছেন মানুষ। সমাধানের দাবিতে এলাকাবাসীর তরফে দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে।

Advertisement

পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে এই পঞ্চায়েতের ক্ষুদিরাম বোস রোডে। বাসিন্দারা জানান, এই এলাকায় জল সরবরাহ করে কেএমডিএ। যদিও দীর্ঘদিন ধরেই ট্যাপকলে জলের চাপ কার্যত নেই। সরু সুতোর মতো জল পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা রজত মজুমদারের ক্ষোভ, জলের আকালে গরমের সময় দুর্বিষহ পরিস্থিতি। পানীয় জল কিনে খেতে হয়। দৈনন্দিন কাজের জন্য জলও বাইরে থেকে সংগ্রহ করতে হচ্ছে। তাঁরা জেনেছেন যে, এলাকার তিনটি পাম্প কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কাজ না করায় এই পরিস্থিতি।

বিষয়টি কেএমডিএ-কে জানানোর পরে ওই দফতরের আধিকারিকরা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখলেও সুরাহা মেলেনি। ফলে, কয়েক হাজার মানুষ জলকষ্টে ভুগছেন। বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, তাঁরা বাড়ি করার সময় ডিপ টিউবওয়েল করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। অথচ, আবাসনের জল তোলা হয় ভূগর্ভ থেকে।

Advertisement

চেষ্টা করেও পঞ্চায়েত প্রধান সোমা দাসের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বেশ কয়েক বার মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। জবাব মেলেনি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তারও।

উত্তরপাড়ায় সম্প্রতি গঙ্গার জল তুলে শোধন করে পানীয় হিসাবে সরবরাহ করার বড় একটি প্রকল্প চালু হয়েছে। আশপাশের বিভিন্ন পুরসভা এবং পঞ্চায়েতে সেখান থেকে জল সরবরাহ করার কথা। নবগ্রাম পঞ্চায়েতও রয়েছে সেই তালিকায়। উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব জানান, যে পাইপে জল সরবরাহ করা হবে, জল দিয়ে তা ধোওয়ার (ওয়াশ আউট) কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজ হয়ে গেলে কয়েক দিন পর থেকেই জল সরবরাহ করা শুরু হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement