Oppression of Loud Music

ঝাঁপান পরবে মাইকের দাপটে নাকাল গ্রামবাসী

বলাগড়ের ইলামপুরের দিঘিরপাড় ও কুলিয়াপাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় মনসাপুজো (ঝাঁপান পরব নামে পরিচিত) উপলক্ষে বহু মানুষের সমাগম হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৩ ০৯:৫৮
Share:

২০টি মাইক একসঙ্গে বাজানো চলছে। বলাগড়ের কুলিয়াপাড়া বাজার এলাকায়। —নিজস্ব চিত্র।

মনসা পুজো উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকে বেজে চলেছে মাইক। আর তার দাপটে অতিষ্ঠ বলাগড়ের বাকুলিয়া ধোবাপাড়া পঞ্চায়েতের ইনছুড়া গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামের অনেকেই। তবে রবিবার রাত পর্যন্ত কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ। এ দিন পুজোর ভিড় সামলানোর ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে গ্রামে এসেছিলেন গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ। মাইকের তাণ্ডব নিয়ে তাঁর দাবি, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement

বলাগড়ের ইলামপুরের দিঘিরপাড় ও কুলিয়াপাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় মনসাপুজো (ঝাঁপান পরব নামে পরিচিত) উপলক্ষে বহু মানুষের সমাগম হয়। জেলার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়া জেলা থেকে অনেকে আসেন এই এলাকায়। আজ, সোমবার মূল পুজো। তার আগে শনিবার রাত থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে অনুষ্ঠান। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রবিবার সকালে থেকে অনেক জায়গাতেই একসঙ্গে গোটা ১০-১২ মাইক একসঙ্গে জুড়ে গান বাজানো হচ্ছে।

ইনছুড়া গ্রামের এক বৃদ্ধের কথায়, ‘‘অনেক পুজোয় ডিজে বাজে। এ বার ডেজি বাজছে না বটে। কিন্তু এতগুলো মাইক তো ডিজের আওয়াজকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে।’’ দু’মাসের খুদেকে নিয়ে শব্দতাণ্ডবে অস্থির এক মহিলা। তাঁর ক্ষোভ, ‘‘ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ করেও রেহাই মিলছে না। মেয়েটা ঘুমোতেই পারছে না। পুলিশে জানিয়েও লাভ হয়নি।’’

Advertisement

বাকুলিয়া ধোবাপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান গণেশ মান্ডি বলেন, ‘‘সব পুজো কমিটিকে মাইক বাজানো নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। অনেকে শুনেছে, অনেকে নয়। আমরা অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’

পরিবেশবিদ বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুজোর মরসুম তো এ বার শুরু হচ্ছে। তার আগেই যদি পুলিশ এই শব্দতাণ্ডবে লাগাম দিতে না পারে, তা হলে মুশকিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement