Arambagh sand smuggling

বালি পাচার রুখতে রাস্তা বন্ধ, ভূমি দফতরের দ্বারস্থ গ্রামবাসী

প্রতি বছর বর্ষার পরে গ্রামবাসীরাই উদ্যোগী হয়ে নিজেরা বা স্থানীয় বালি খাদান মালিকদের সহায়তায় নদ পারাপারের জন্য বাঁধ তৈরি করেন। সেই বাঁধটাই মাটির আগল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:১৮
Share:

বালি পাচার রুখতে পদক্ষেপ। — ফাইল চিত্র।

যাতায়াতের সুবিধার জন্য দ্বারকেশ্বর নদের উপর বাঁধের পথ তৈরি করেছিলেন গোঘাটের ভঞ্জপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। বালির রাজস্ব আদায়ে ফাঁকি বন্ধের উদ্দেশ্যে বুধবার সেই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আরামবাগ মহকুমা ভূমি দফতরের বিরুদ্ধে। তার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের বাসিন্দারা। পাশাপাশি ওই রাস্তা চালুর দাবিতে দফতরের আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

Advertisement

মহকুমা ভূমি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “বালি খাদ থেকে নিয়ম অনুযায়ী আরামবাগের ভাটার মোড় দিয়েই বালি নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু ওই বাঁধ বরাবর বালি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পেয়েই ওই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে গ্রামবাসীদের সুবিধার্থে হাঁটাচলা বা গরুর গাড়ি পারাপারের মতো ফাঁক রাখা যায় কি না চিন্তাভাবনাকরা হচ্ছে।”

দ্বারকেশ্বর নদের পশ্চিম পাড়ের এই গোঘাটের ভঞ্জপাড়ার অধিকাংশ মানুষ দিনমজুর। এলাকার বাসিন্দা শেখ সামিরুল, শেখ ইয়াকুব আলিরা জানান, তাঁদের বিভিন্ন কাজে নদের পূর্ব পাড়ে আরামবাগের ভাটারমোড়, চাঁদুর এলাকায় যেতে হয়। প্রতি বছর বর্ষার পরে গ্রামবাসীরাই উদ্যোগী হয়ে নিজেরা বা স্থানীয় বালি খাদান মালিকদের সহায়তায় নদ পারাপারের জন্য বাঁধ তৈরি করেন। সেই বাঁধটাই মাটির আগল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে যাতায়াত করতে তাঁদের সমস্যা হচ্ছে। এর জেরে ক্ষতি হচ্ছে রুজির।

Advertisement

ভূমি দফতরের নির্দেশে যে বালি খাদ কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে, তার শেখ নিজামউদ্দিন বলেন, “রাস্তাটি তৈরির সময় গ্রামবাসীদের আমরাই সাহায্য করেছিলাম। কিন্তু ভূমি দফতর বলছে, ওই পথে না কি বালি পাচার হচ্ছে। তাই আমাদের দিয়েই রাস্তা বন্ধ করানো হয়েছে। গ্রামবাসীকেবিষয়টি জানিয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement