ভোগান্তি: বাস কম। তাই মালবাহী গাড়িতে চেপেই যাতায়াত শুক্রবার উলুবেড়িয়ায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। ছবি: সুব্রত জানা
হুগলির পথে শুক্রবারেও সে ভাবে বাসের দেখা মিলল না। ফলে, সাধারণ মানুষের ভোগান্তির ছবিটাও প্রায় অপরিবর্তিতই রইল। ভাড়া না-বাড়ালে রাস্তায় যে বাস নামানো সম্ভব নয়, এ দিনও বাস-মালিকেরা তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। আরামবাগে অবশ্য বৃহস্পতিবারের তুলনায় বাসের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।
শুক্রবার শ্রীরামপুর বাস টার্মিনাস থেকে অধিকাংশ রুটের বাসই ছাড়েনি। এই তালিকায় ছিল জাঙ্গিপাড়া, আউশবালি, বাগবাজার বা বীরশিবপুর যাওয়ার বাস। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভগামী এবং শ্রীরামপুর-তারকেশ্বর (১২ নম্বর) রুটের গুটিকয়েক বাস চলেছে। চুঁচুড়া-দক্ষিণেশ্বর (২ নম্বর) রুটেও কিছু বাস চলতে দেখা গিয়েছে। চুঁচুড়া-মেমারি এবং পাণ্ডুয়া-কালনা রুটেও অল্প কয়েকটি বাস নামে। তবে, তা মূলত অফিস-টাইমে।
জেলায় সরকারি বাস মূলত চলে আরামবাগ-কলকাতা রুটে। বৃহস্পতিবার ৬টি চলেছিল। শুক্রবার ৮টি চলেছে। আরামবাগ থেকে দূরপাল্লার (খানাকুল বন্দর-হাওড়া, বালিদেওয়ানগঞ্জ-কলকাতা, শ্যাওড়া-কলকাতা, বিষ্ণুপুর-কলকাতা ইত্যাদি রুট) বেসরকারি বাসের সংখ্যাও এ দিন ৯ থেকে বেড়ে ১৪টি হয়েছে। আরামবাগের স্থানীয় রুটেও কিছু বাস বেড়েছে।
বিভিন্ন রুটের বাস-মালিকদের বক্তব্য, টোটোর দৌরাত্ম্য-সহ নানা কারণে এমনিতেই বাস-শিল্পে নাভিঃশ্বাস উঠেছে। তার উপরে ডিজেলের দাম অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় লোকসানের বহর বেড়েছে। অথচ, বাসভর্তি যাত্রী তোলার ছাড়পত্র দেয়নি রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে বাস চালাতে ঘর থেকে টাকা ঢালতে চাইছেন না অনেক মালিকই। তাঁদের বক্তব্য, ভাড়া বাড়ানো না হলে বাস চালানো সম্ভব নয়।
এই জেলার বহু মানুষের কর্মস্থলে যেতে ভরসা ট্রেন। কিন্তু লোকাল ট্রেন এখনও বন্ধ। বাসও সে ভাবে না-চলায় মানুষের দুর্ভোগ অব্যাহত। অনেকেরই দাবি, বিশেষত নিম্নবিত্ত মানুষের কথা ভেবে পর্যাপ্ত সংখ্যক সরকারি বাস চালানো হোক।
বিভিন্ন রুটের বাস-মালিক সংগঠনগুলি থেকে বলা হয়েছে, পরীক্ষামূলক ভাবে তাঁরা বাস চালাচ্ছেন। ডিজেলের খরচ এবং বাসকর্মীদের বেতন দিয়ে বাসপিছু ২-৩ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে।