হুগলী পৌরসভা। —ফাইল চিত্র।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুটপাত-সহ সরকারি জমি দখল নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। তারপরেই হুগলির বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন ভাবে ফুটপাত দখলমুক্ত করার কাজ শুরু হয়। এ বার পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর জেলার পুরসভাগুলিকে চিঠি দিয়ে তাদের জবরদখল হয়ে যাওয়া জমি থেকে বেআইনি নির্মাণ সরানো এবং জমি নিজেদের দখলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই কাজে প্রয়োজনে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তা নিতেও বলা হয়েছে। এর ফলে, ওই কাজে গতি আসবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
গত ৪ জুলাই পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের ওই চিঠি আসে হুগলির পুরপ্রধানদের কাছে। মুখ্যমন্ত্রীর উষ্মার সাপেক্ষেই এই চিঠি বলে মনে করছেন পুরকর্তাদের অনেকে। উত্তরপাড়া পুর এলাকায় ইতিমধ্যেই ফুটপাত দখল করে থাকা বন্ধ গুমটি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, পুরসভার জমি থেকে দখলদারদের সরিয়ে দেওয়ার পর সেখানে সরকারি বোর্ড ঝুলিয়ে দিতে হবে। সম্ভব হলে ওই জমি ফের যাতে দখল না হয়ে যায়, সে জন্য বেড়া দিতে হবে।
হুগলির জেলাশাসকও চুঁচুড়ায় এ বিষয়ে বৈঠক করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই লক্ষ্যে জেলা সদর হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভাও কাজ শুরু করেছে। তবে পুর কর্তৃপক্ষ এই কাজে কিছুটা ‘ধীরে চলো’ নীতির পক্ষপাতী। পুরপ্রধান অমিত রায় বলেন,‘‘পুর এলাকায় রাস্তায় কত ব্যবসায়ী রয়েছেন, তার তালিকা আমাদের কাছে আছে। আমরা প্রাথমিক ভাবে সরে যেতে অনুরোধ করব ব্যবসায়ীদের। মাইকে প্রচার চলবে। তারপর নোটিস জারি হবে। তাতেও কাজ না হলে সরাসরি তুলে দেওয়ার পথ নিতে হবে।’’