খানাখন্দে ভরা রাস্তা। গোঘাটের উল্লাসপুর এলাকায়। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ
অনেক জায়গায় পিচ উঠে গিয়েছে। কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে গভীর গর্ত। এক মাসও হয়নি আরামবাগের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের সংযোগকারী রাজ্য সড়কে (৭ নম্বর) মোটরবাইক দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছিল। রবিবার সন্ধ্যায় ওই বেহাল রাস্তায় বাস উল্টে জখম হলেন ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে ১৭ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাস্তাটির ভেঙে যাওয়া ২১.৪৫ কিমি অংশ সংস্কারে পূর্ত দফতরের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে।
হুগলি জেলা পূর্ত দফতরের (রাস্তা) এগ্জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দিব্যেন্দু বাগ বলেন, “রাস্তাটির ভাঙা এবং গর্ত হয়ে যাওয়া অংশগুলি ধারাবাহিক ভাবে সংস্কারের কাজ চলছে। যেখানে বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে একটাই সামান্য গর্ত ছিল বলে জেনেছি। যে জায়গাগুলো বারবার ভাঙছে, বর্ষার পর মজবুত করে সংস্কার করতে পরিকল্পনা করা হয়েছে।”
ওই রাজ্য সড়কটি বীরভূমের রাজগ্রাম-নলহাটি থেকে মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, হুগলির আরামবাগ এবং গোঘাট হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা পর্যন্ত বিস্তৃত। মোট ২৮৯ কিমি। হুগলির মধ্যে রয়েছে ৩০ কিমি। এর মধ্যে আরামবাগের নৈসরাই থেকে কালীপুর সেতুর পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত ৯ কিমি চার লেন করার কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় রয়েছে। বাকি ২১ কিমি রাস্তাটির সাড়ে ৫ মিটার থেকে বাড়িয়ে ১০ মিটার চওড়া করা হয় ২০১৬ সালে। কিন্তু ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রাস্তাটি আমূল সংস্কার হলেও গুণমান বজায় রাখা হয়নি। বছর দেড়েকের মধ্যেই রাস্তা ভাঙতে শুরু করে। তখন থেকে খালি জোড়াতালি দেওয়া হচ্ছে। বেহাল রাস্তায় হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটছে।
রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে শাসক দলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরাও ক্ষুব্ধ। গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদারের অভিযোগ, “রাস্তাটা দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। বিষয়টা পূর্ত দফতরের নজরেও এনেছি। কিন্তু ভাঙ্গা অংশ জোড়াতালি দেওয়া ছাড়া মজবুত করে সংস্কার হচ্ছে না। ফলে, জোড়াতালি দেওয়া অংশগুলো ফের ভাঙছে। নতুন ক্ষতও হচ্ছে।’’