উলুবেড়িয়া পুরসভা।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে বাড়ি তৈরি ও পানীয় জলের ক্ষেত্রে উলুবেড়িয়া পুরসভাকে কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এই পুরসভা খানিকটা পিছিয়ে আছে শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রে। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, এই বিভাগটিতে তারা ১০০-র মধ্যে ৮২ পেয়েছে। ঘাটতি স্বীকার করে পুরপ্রধান অভয় দাস বলেন, ‘‘ঘাটতি পূরণ করতে আমরা বিশেষ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শীঘ্র শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে আমাদের ১০০ শতাংশ সাফল্য আসবে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, বাড়ি বাড়ি বর্জ্য সংগ্রহ করার অভিযান এখানে শুরু হয় বছর তিনেক আগে। প্রতিটি বাড়িতে দু’টি করে বালতি দেওয়া হয়। একটিতে ফেলার কথা পচনশীল বর্জ্য। অন্যটিতে ফেলার কথা অপচনশীল বর্জ্য। পুরসভা প্রতি দিন সেই বর্জ্য গাড়িতে করে তুলে নিয়ে বাউড়িয়া এবং উলুবেড়িয়ার বাণীতবলায় ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলে দেয়। এ ছাড়াও, প্রতি দিন সকালে সাফাই কর্মীরা রাস্তার ধারে জমে থাকা বর্জ্য সাফ করেন।
তা হলে ঘাটতি কোথায়?
বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা যাচ্ছে, কিছু এলাকায় তোলা হচ্ছে না। সেই সব বর্জ্য বাসিন্দারা তুলে বাড়ির পিছনের খালে ফেলে দিচ্ছেন। কোথাও রাস্তার ধারে ফেলে দিচ্ছেন। ফলে এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে। পুরসভার এক কর্তা বলেন, ‘‘এটা আমরাও লক্ষ্য করেছি। আমরা প্রতিটা বাড়িতেই দু’টি করে বালতি দিয়েছি। কিন্তু কিছু কিছু এলাকায় বাসিন্দারা বালতিতে বর্জ্য ফেলছেন না। তাঁরা বালতিতে চাল আটা রাখছেন। এটা আসলে তাঁদের দীর্ঘ দিনের বদভ্যাসের ফল।’’
এ বিষয়ে পুরপ্রধান সকলকেই সতর্ক হতে বলছেন। তাঁর কথায়, ‘‘যে সব এলাকায় বালতিতে বাসিন্দারা বাড়ির বর্জ্য ফেলছেন না সেইসব এলাকায় বিশেষ দল তৈরি করে অভিযান চালানো হবে। বিশেষ দলে রাখা হবে পরিবেশবিদ-সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজনকে। তাঁরা বালতি ব্যবহারের উপযোগিতা বাসিন্দাদের বোঝাবেন।’’
এলাকাবাসীর ক্ষোভ, এখনও ডাম্পিং গ্রাউন্ডে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা চালু হয়নি। এটা হলে কিছু মানুষের যেমন কর্মসংস্থান হততেমনই বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে যে পণ্য উৎপাদন হত, তা বিক্রি করে পুরসভা বাড়তি আয় করতে পারত। এ বিষয়ে পুরপ্রধান জানান, বিষয়টি সুডা (স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি) দেখছে।
এ বিষয়ে সুডার এক কর্তা বলেন, ‘‘উলুবেড়িয়ায় বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা স্থাপন করার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। শীঘ্র কাজ শুরু হবে।’’