TMC

TMC: চুঁচুড়ায় বিধায়ক আছে, কিন্তু কাজ করে কে? নাম না করে অসিতকে বিঁধলেন তপন?

• চুঁচুড়ায় দুই তৃণমূল বিধায়কের মধ্যে কাজিয়া

• অসিত মজুমদারকে পুরভোটের প্রচারে গিয়ে আক্রমণ তপন দাশগুপ্তের

• প্রকাশ্যে না বললেও নেটমাধ্যমে পাল্টা তোপ অসিতের

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:৪৬
Share:

চুঁচুড়ায় দুই বিধায়কের কাজিয়া। বাঁ দিকে অসিত মজুমদার, ডান দিকে তপন দাশগুপ্ত। —ফাইল চিত্র।

পুরভোটের মুখে কি ফের দ্বন্দ্বের আবহ হুগলি জেলার তৃণমূল শিবিরে? সম্প্রতি সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্তের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। যেখানে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের উদ্দেশে কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছে তপনকে। সপ্তগ্রামের বিধায়কের মন্তব্য নিয়ে অবশ্য প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া দেননি অসিত। তবে তিনিও নেটমাধ্যমে আক্রমণ শানিয়েছেন তপনকে।
২২ সেকেন্ডের যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, সেখানে তপনকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলি, চুঁচুড়া শহরে বিধায়ক আছে, কিন্তু কাজ করে কে? তপন দাশগুপ্ত। ৯০ শতাংশ লোক আমার কাছে আসেন। কারণ হুগলি জেলায় তৃণমূল তৈরি করেছিলাম আমি। আপনাদের আশীর্বাদে। আর সিপিএম কে?’’ তপনের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, সম্প্রতি হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় পুরভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন যা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অসিত এ প্রসঙ্গে বলছেন, ‘‘এটা আমার দলের ব্যাপার। যা হয়েছে তা তো দেখতেই পাচ্ছেন। বাকিটা মানুষ বুঝবে।’’

Advertisement

তবে নেটমাধ্যমে তপনের এই বিতর্কিত মন্তব্য ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে ওই ভিডিয়ো শেয়ার করে অসিত লিখেছেন, ‘একটা পাগল আর ছাগল আছে চুঁচুড়ায়। তার কথা শুনুন।’

দুই বিধায়কই চুঁচুড়ার বাসিন্দা। স্থানীয়েরা জানেন, দু’জনের সম্পর্ক ‘অম্লমধুর’। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর দু’জনের সম্পর্ক বেশ মজবুত হয়েছিল। দু’জনকে এক মঞ্চে দেখাও যাচ্ছিল বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। গত বিধানসভা ভোটে দু’জনই পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু পুরভোটের প্রার্থী ঘোষণা হতেই দু’জনের দ্বন্দ্ব ফের প্রকট হয়েছে। হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর তথা তপনের ভাই গোবিন্দ দাশগুপ্ত এ বার টিকিট পাননি। ২১ নম্বর ওয়ার্ড এ বার মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। তবে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ দত্তকে প্রার্থী করা হয়েছে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। ২৪ নম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষিত হওয়ায় ২৬ নম্বরে প্রার্থী করা হয়েছে পার্থ সাহাকে। তপনের ভাই হওয়াতেই গোবিন্দকে টিকিট দেওয়া হয়নি বলে জল্পনা শুরু হয়েছে চুঁচুড়ার তৃণমূল কর্মীদের একাংশের মধ্যে। এর পর পুরভোটের মুখে দুই বিধায়ক নতুন করে কাজিয়ায় জড়িয়ে পড়ায় তাঁদের মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement