ফাইল ছবি
রেল পুলিশের থানার প্রহরীবিহীন লক-আপ ভেঙে চম্পট দিয়েছিল দুই বন্দি। হাওড়ার শালিমারের সেই ঘটনায় শুরু হয়েছিল তোলপাড়। ঘটনার দু’দিন পরে খড়্গপুর থেকে ধরা পড়ল তারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর শহরের মালঞ্চ থেকে রাজু হাড়ি ও শামিরুল মোল্লা নামে ওই দুই বন্দিকে গ্রেফতার করে হাওড়ার শালিমারের রেল পুলিশ। অভিযানে সাহায্য করে খড়্গপুর রেল পুলিশও।
গত রবিবার ভোরে রেল পুলিশের শালিমার থানার লক-আপের তালা ভেঙে পালিয়ে গিয়েছিল রাজু ও শামিরুল। উলুবেড়িয়ার বাজারপাড়ার বাসিন্দা শিবম হাড়িকে খুনের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। রেল পুলিশ সূত্রের খবর, শিবম তাদের বন্ধু ছিলেন। গত ১৭ অগস্ট রাজু ও শামিরুলের সঙ্গে বেরিয়ে আর ফেরেননি শিবম। পরে জানা যায়, তাঁকে আবাদা স্টেশনের কাছে ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। জখম অবস্থায় উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় শিবমের। রাজু ও শামিরুলের বিরুদ্ধে শালিমার রেল পুলিশে অভিযোগ জানায় শিবমের পরিবার। ১৮ অগস্ট দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলে পুলিশ। বিচারক চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। সেই হেফাজত থেকেই পালায় তারা।
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, গত দু’দিনে উলুবেড়িয়া, ফুলেশ্বর-সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হলেও সাফল্য মেলেনি। পরে মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান থেকে জানা যায়, তারা খড়্গপুরে রয়েছে। ডেপুটি রেল পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার্স) চন্দ্রশেখর দাস বলেন, “ঘটনার পর থেকে বিশাল বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছিল। মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান দেখে ও সূত্রের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে লক-আপ থেকে পালানো ওই দু’জনকে খড়্গপুর থেকে ধরা সম্ভব হয়েছে। কী ভাবে ওরা খড়্গপুরে পৌঁছল, তা জানতে জেরা চলছে।”