—প্রতীকী চিত্র।
মধ্যরাতে হুগলির মগরায় শুটআউট। গুলিবিদ্ধ দু’জন। দু’জনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এক জনের শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও অন্য জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কী কারণে এই দু’জনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ মগড়া থানা এলাকার নাকসা মোড়ের কাছে শুটআউটের ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় একটি বাইকে চেপে মগড়ার দিকে যাচ্ছিলেন বছর চল্লিশের বিশ্বনাথ দে এবং বছর ত্রিশের মইদুল ইসলাম। পিছন থেকে একটি চার চাকার গাড়ি তাঁদের অনুসরণ করে এগিয়ে আসছিল। নাকসা মোড়ের কাছে হঠাৎই ওই গাড়ি থেকে দু’জনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। মইদুলের উরুতে এবং বিশ্বনাথের হাতে এবং পেটে গুলি লাগে। আহত দু’জনকেই প্রথমে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। বিশ্বনাথের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে পরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এই ঘটনায় একটি মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পুরনো শত্রুতার জেরেই দু’জনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। হুগলির গ্রামীণ পুলিশের সুপার কামনাশিস সেন বলেন, “ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। কারা, কী উদ্দেশে গুলি চালাল, তা দেখা হচ্ছে।”
আহত বিশ্বনাথের বাড়ি মগরা থানা এলাকাতেই। তাঁর মা সবিতা দে বলেন, “ছেলে মাটির কারবার করে। তৃণমূলের মিটিং মিছিলে যায়। তবে কী কারণে গুলি চালানো হল, তা বলতে পারব না।” তিনি জানান যে, গত কয়েক বছর ধরেই বিশ্বনাথ স্ত্রী এবং কন্যাকে নিয়ে আলাদা থাকতেন। একই বাড়িতে সবিতা থাকতেন উপরের তলায়। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে খবর পান।