আহত সিভিক কর্মী রানা দত্ত। —নিজস্ব চিত্র।
মাথায় আঘাত পেয়েও ডাকাতি রুখে দিলেন দুই সিভিক কর্মী। সোনার দোকান লুঠ করতে এসেও দুই সিভিক কর্মীর সাহসিকতার কাছে হার মানল সশস্ত্র ডাকাতরা। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির বলাগড়ের জিরাটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বলাগড় থানার সিভিক কর্মী রানা দত্ত এবং দেবারুণ চক্রবর্তী জিরাট স্টেশন রোডে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রহরায় নিযুক্ত ছিলেন। গভীর রাতে সোনার দোকানের শাটার ভাঙার আওয়াজ পেয়ে তাঁরা ছুটে যান। সেই সময় ডাকাতদল সিভিক কর্মীদের উপর হামলা চালায়। রানার মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করে তারা। মুহূর্তেই তাঁর মাথা ফেটে যায়। কাঁধে চোট পান দেবারুণও। তবে চিৎকার চেঁচামেচিতে গা ঢাকা দেয় ডাকাতরা।
ওই এলাকারই ব্যবসায়ী দিব্যেন্দু সমাদ্দার বলেন, ‘‘রাস্তার পাশে আমার দোকান। দোকানের উপরে বাড়ি। রাত দু’টো-আড়াইটে নাগাদ হঠাৎ চিৎকার শুনতে পাই। ঘুম থেকে উঠে বুঝতে পারি ডাকাত পড়েছে। আমাদের ব্যবসায়ী সমিতির তরফে রাত পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। দু’জন পাহারাদার ঘটনাস্থলে চলে আসে। খবর দেওয়া হয় বলাগড় থানায়। পুলিশও তাড়াতাড়ি চলে আসে। ততক্ষণে অবশ্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়।’’ সিভিক কর্মী রানাকে জিরাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর মাথায় ১৪টা সেলাই হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘অন্ধকার ছিল। একটা আওয়াজ পেয়ে ছুটে যাই। আমাদের দেখেই ওরা বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে। ওরা সংখ্যায় কত জন ছিল তা দেখতে পাইনি।’’ স্টেশন বাজারে সোনার দোকান জগদীশ কর্মকারের। তাঁর দোকানেই হানা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। জগদীশ বলছেন, ‘‘আমি ভোর বেলা খবর পাই। সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য আমার কোনও ক্ষতি হয়নি।’’