প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অবরোধের জেরে ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। —নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়্গপুর শাখার লোকাল ট্রেন অস্বাভাবিক দেরিতে চলার প্রতিবাদে ট্রেন অবরোধ হাওড়ার রামরাজাতলা স্টেশনে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অবরোধের জেরে ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। অবরোধের জেরে হাওড়াগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থমকে যায় বলে সূত্রের খবর।
যাত্রীদের অভিযোগ, খড়্গপুর শাখায় প্রায়ই এক থেকে দেড় ঘণ্টা দেরিতে চলছে ট্রেন। বিশেষ করে হাওড়া-আমতা লোকাল। যার জেরে প্রত্যেক দিন যাত্রীদের হয়রানি হচ্ছে। বার বার কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েও এর সুরাহা হয়নি। বুধবার একই ভাবে দেরিতে ট্রেন চলায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। রাত ৮টা থেকে শুরু হয় ট্রেন অবরোধ। তার জেরে আপ ও ডাউন প্রায় সব ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। সূত্রের খবর, চারটি লোকাল ট্রেন হাওড়া থেকে ছাড়তে পারেনি। এর মধ্যে রয়েছে হাওড়া-পাঁশকুড়া লোকাল, হাওড়া-মেচেদা লোকাল, হাওড়া-মেদিনীপুর লোকাল এবং হাওড়া-আমতা লোকাল। পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসও সাঁতরাগাছি এবং রামরাজাতলা স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল বলে খবর মিলেছে। এ ছাড়াও, ডাউন লাইনে আটকে ছিল ঘাটশিলা-হাওড়া মেমু এক্সপ্রেস, মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল, হলদিয়া-হাওড়া ফাস্ট লোকাল এবং আমতা-হাওড়া লোকাল।
অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রেল পুলিশ। তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান অবরোধকারীরা। পরে রাত ১১টা নাগাদ রেল অবরোধ তুলে নেন যাত্রীরা। রেল সূত্রের বক্তব্য, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে অবরোধ তোলা হয়েছে।
দীর্ঘক্ষণ রেল অবরোধ চললেও যাত্রীদের দাবী নিয়ে টানাপোড়েন চলছিলো রেল কর্তৃপক্ষ ও যাত্রীদের মধ্যে।এই পরিস্থিতিতে মধ্যস্ততা করেন স্থানীয় জগাছা থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ সতীনাথ চট্টরাজ।ভবিষ্যতে যাতে সমস্যার সমাধান হয় তারজন্য আধিকারিকদের সাথে কথা বলেন তিনি।এরপর তার কথামতো আশ্বস্ত হয়ে যাত্রীরা অবরোধ তোলেন।