শুক্রবার দুপুরে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের গড়পা খেজুরতলার কাছে মঙ্গলাহাটের বস্ত্র ব্যবসায়ীরা রাস্তা অবরোধ করেন। নিজস্ব চিত্র
করোনা সংক্রমণ রুখতে আগামী রবি, সোম ও মঙ্গলবার হাওড়া ময়দানে মঙ্গলাহাট বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের এই ঘোষণার প্রতিবাদে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে বিক্ষোভ ও অবরোধ করলেন হাটের ব্যবসায়ীরা। অবরোধের জেরে যানজট হয় কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে। মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকার তিন দিন বন্ধ না রেখে অন্তত একদিন হাট খোলা রাখুক। তাহলে মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ীরা বিপুল আর্থিক ক্ষতি থেকে বাঁচবেন।
শুক্রবার দুপুরে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের গড়পা খেজুরতলার কাছে মঙ্গলাহাটের বস্ত্র ব্যবসায়ীরা রাস্তা অবরোধ করেন। ফলে কিছুক্ষণ এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। প্রায় মিনিট পনেরো পর জগাছা থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। শেখ হালিম আলি নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘রাজ্যে যখন অন্যান্য হাটগুলি খোলা তখন মঙ্গলাহাট বন্ধ করা হল কেন? বিগত লকডাউনে মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ফের হাট বন্ধ হলে তারা আর আর্থিক ক্ষতি সামাল দিতে পারবেন না।’’ প্রশাসন অন্তত একদিন খুলে দিলে করোনা বিধি মেনেই ব্যবসায়ীরা হাট চালাবেন।
ব্যবসায়ীদের এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী জানান, ‘‘অনির্দিষ্টকালের জন্য হাট বন্ধ করে দেওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রতি সপ্তাহে করোনা পরিস্থিতি দেখে মঙ্গলাহাট বন্ধ থাকবে না খোলা রাখা হবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাছাড়া অন্য হাটের সঙ্গে মঙ্গলাহাটকে গুলিয়ে ফেললে হবে না। কারণ মঙ্গলাহাট যেখানে বসে সেই হাওড়া ময়দান চত্বরে রয়েছে হাওড়া হাসপাতাল, পুরসভা, থানা, জেলাশাসকের দফতর, পুলিশ কমিশনারের দফতরের মতো প্রচুর সরকারি দফতর। যেখানে নিত্যদিন প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। তাই এই এলাকায় হাটের ভিড়ে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়।’’
আগামী সোমবার মঙ্গলাহাটের সমস্ত ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের তরফে বৈঠক করা হবে বলেও এদিন জানান মুখ্য প্রশাসক। প্রসঙ্গত করোনা সংক্রমণ যখন হু হু করে বাড়ছে সেইসময় হাওড়া ময়দান চত্বরে মঙ্গলাহাটে বেচাকেনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল জেলা প্রশাসনের। আর তাই সংক্রমণ ঠেকাতে বৃহস্পতিবারই মঙ্গলাহাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এদিন সেই নির্দেশেরই বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন ব্যবসায়ীরা।