লাগড়ের সবুজ দ্বীপ পর্যটন কেন্দ্রের পরিকাঠামো তৈরির পরে প্রথম বড় দিনেই পর্যটকদের ভিড় জমল। —নিজস্ব চিত্র।
উদ্বোধনের পর সোমবার, প্রথম বড়দিন পার করল বলাগড়ের সোমরা-২ পঞ্চায়েতের বলাগড়ের সবুজদ্বীপ পর্যটনকেন্দ্র। তবে ওই দিন পর্যটনকেন্দ্রের ভিতরে যতটা ভিড় ছিল, তার থেকে পর্যটকরা বেশি জড়ো হয়েছিলেন বাইরে। পর্যটনকেন্দ্রে ঢুকতে গেলে যে আগে অনলাইনে ঘর ভাড়া নিতে হয়, তা ছিল অনেকেরই অজানা। আবার ভিতরে যাঁরা ঢুকেছিলেন, তাঁদের পরিকাঠামোর নানা অভাব নিয়ে অভিযোগ তুললেন।
সোমবার সকাল থেকে সবুজদ্বীপে ছিল উৎসবের মেজাজ। স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে এ দিন পর্যটনকেন্দ্রে এসেছিলেন আরামবাগের সুমিত বাগ। তাঁর ক্ষোভ, ‘‘আগে থেকে বুকিং করতে হবে জানতাম না। ভেবেছিলাম, টিকিট কাটলেই ঢোকা যাবে। এটা নিয়ে আরও প্রচার করা দরকার ছিল।’’ এ দিন হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন একদল কলেজপড়ুয়াও। তাদের কথায়, ‘‘ভেবেছিলাম, দ্বীপের ভিতরে নৌকাবিহার করব। কিন্তু হল না। বাইরে সকলে ঘুরে চলে এলাম। দিনটাই মাটি হল!’’
পর্যটনকেন্দ্রের বাইরে ফাঁকা জায়গায় এ দিন প্রকাশ্যে মদ্যপান করতে দেখা গিয়েছে অনেককে। যাঁরা বনভোজন করেছেন, তাঁরা প্লাস্টিক, থার্মোকলের পাতা, গ্লাস ছড়িয়ে রেখে এলাকা ছেড়েছেন। শেষ বেলায় ফাঁকা জমিতে পড়েছিল মদের বোতলও।
আর যাঁরা পর্যটককেন্দ্রের ভিতরে ঢুকেছিলেন, তাঁরা নৌকাবিহার করলেন ঠিকই। তবে জানালেন নানা অভিযোগও। কেউ বললেন, অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়েছে নৌকায়। আবার কেউ জানালেন, নৌকাআরোহীদের লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়নি। সোমড়ার সুখড়িয়ার এলাকার দুটি ঘাট থেকে বেশ কয়েকটি ছোট নৌকো করে সবুজদ্বীপ যেতে সময় লেগেছে মিনিট ২৫। দেখা মিলেছে কয়েকটি ভুটভুটিরও। প্রশাসন সূত্রে খবর, সোমবার পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় জমিয়েছিলেন প্রায় ৫০০ মানুষ। ভিড় নিয়ে খুশি সবুজ দ্বীপের বাইরেই দোকানদাররা।
তবে এমন অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, এলাকায় প্রশাসনের নজরদারির প্রয়োজন ছিল। দরকার ছিল সচেতনতা প্রচারেরও। এ বিষয়ে সোমরা-২ পঞ্চায়েতের প্রধান ময়না মুর্মুর কথায়, ‘‘পর্যটনকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা নিয়ে নিয়ে বিডিওকে জানানো হয়েছিল। তিনি জানান, পর্যটন দফতরের অধীনে থাকায় ওখানে কিছু করা যাবে না। তবে নদীতে কের বিপর্যয় মোকাবিলা দল নজরদারিতে ছিল।’’
এ দিন বিডিও সুপর্ণা বিশ্বাসকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। উত্তর দেননি জেলাশাসক মুক্তা আর্যও।