সভা থেকে যুব নেতা তোপ দাগলেন সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকে। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই হুগলির খানাকুলে সামনে আসছে শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দল। এ বার খোদ আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন দলেরই যুব নেতা। বললেন, “খানাকুলে তাঁকে ঢুকতে দেবেন না।” এমনকি, ‘দেড় ফুটিয়া নেতা’ বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। এর প্রতিক্রিয়া দিতে দেরি করেননি জেলা সভাপতি রমেন্দু সিংহ রায়ও। সব মিলিয়ে দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব চরমে।
প্রকাশ্য সভা থেকে কোনও বিরোধী দলের নেতা নয়, নিজের দলের জেলা সভাপতি রমেন্দুকে তোপ দাগলেন পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নুর নবি মণ্ডল। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আগে অনেক লড়াকু জেলা সভাপতি দেখেছি। কিন্তু এমন দেড় ফুটিয়া, অভদ্র জেলা সভাপতি আগে দেখিনি।’’ এখানেই থামেননি তিনি। নুর বলেন, ‘‘খানাকুলে এলে মানুষ এ বার ওঁদের তাড়া করবে।’’ প্রসঙ্গত রবিবার খানাকুলে একই সময়ে তৃণমূলের তরফে আলাদা আলাদা তিনটি কর্মসূচি হয়। তার দুটি কর্মসূচিতে যোগ দেন রমেন্দু সিংহ রায়। কিন্তু খানাকুল বিধানসভার তৃণমূলের ডাকা কর্মসূচিতে কোথাও দেখা যায়নি জেলা সভাপতিকে। তার পরেই প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে তাঁকে এই ভাবে আক্রমণ করতে শোনা গেল পূর্ত কর্মাধ্যক্ষকে।
এ নিয়ে রমেন্দু সিংহ রায় বলেন, ‘‘শিক্ষার অভাব রয়েছে ওঁর। তাই এই ধরনের মন্তব্য করছেন।’’ তিনি দাবি করেন, দুই ব্লক সভাপতির কর্মসূচি ছিল, সেই দু’টিতে তিনি হাজির ছিলেন। তবে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগের প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি তিনি। তবে নেতৃত্বের মধ্যে ঝামেলার জন্য কর্মীদের মধ্যে যে ক্ষোভ বাড়ছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে খানাকুল বিধানসভার গত বারের তৃণমূল প্রার্থী তথা জেলা পরিষদ সদস্য মুন্সী নজিবুল করিম বলেন, ‘‘আমাদের কর্মসূচি পূর্ব ঘোষিত। জেলা সভাপতিকেও আমন্ত্রণ করেছিলাম। কিন্তু উনি আসবেন বলেও আসেননি।’’
আর এ সব দেখে শাসক দলকে কটাক্ষের সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি। খানাকুল বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘এখন ওদের মধ্যে লুটে খাওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। তাই এক সঙ্গে আলাদা আলাদা এতো মিটিং-মিছিল করছে।’’