Flex

TMC: কলেজ থেকে দুই নেতার ছবি সরিয়ে নিল তৃণমূলই

ফ্লেক্স দু’টিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্য যুব-তৃণমূলের সহ সভাপতি শান্তনু বন্দোপাধ্যায় এবং এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক অসীম মাঝির ছবি ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বলাগড় শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২১ ০৮:৪২
Share:

অবশেষে সোমবার সকালে কলেজের এই জায়গা থেকে বিতর্কিত ফ্লেক্স সরিয়ে নেওয়া হল। ছবি: সুশান্ত সরকার।

দলের দুই নেতার ‘বিতর্কিত’ ফ্লেক্স বলাগড় বিজয়কৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে অবশেষে সরিয়ে নিল তৃণমূলই। তবে, তার জন্য হস্তক্ষেপ করতে হল দলের রাজ্য নেতৃত্বকে।

Advertisement

বলাগড় ব্লক যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা টিএমসিপির আহ্বায়ক সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় সোমবার কলেজে যান। গেটের সামনে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা বিজয়কৃষ্ণ মোদকের মূর্তির সামনে থেকে ফ্লেক্স দু’টি খুলে নেন। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে রক্তদান শিবির উপলক্ষ্যে আমরা ওই ফ্লেক্স লাগিয়েছিলাম। আজ খুলে নিলাম।’’ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য নেতৃত্ব ওই ফ্লেক্স কলেজ থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই মতো আমি সুরজিৎকে বলি।’’

ফ্লেক্স দু’টিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্য যুব-তৃণমূলের সহ সভাপতি শান্তনু বন্দোপাধ্যায় এবং এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক অসীম মাঝির ছবি ছিল। গত মঙ্গলবার কলেজে এসে অসীম-শান্তনুর ছবি দেখে আপত্তি জানান কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা এলাকার তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। কলেজ সূত্রের খবর, তিনি ওই ফ্লেক্স সরিয়ে ফেলতে অধ্যক্ষ প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন। এর পরেই অধ্যক্ষ ওই ফ্লেক্স খুলিয়ে নেন।

Advertisement

ওই ফ্লেক্স শৌচাগারের সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘অপমান’ করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে টিএমসিপির কিছু ছেলেমেয়ে ওই সন্ধ্যায় অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেন। স্লোগান চলতে থাকে। অধ্যক্ষের অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের চাপে রাতে কার্যত নতিস্বীকার করে তাঁকে ওই ফ্লেক্স যথাস্থানে লাগিয়ে দিতে হয়। বহিরাগতরা তাঁকে হেনস্থা করেন। এ নিয়ে শিক্ষামহলে নিন্দার ঝড় ওঠে। মনোরঞ্জন দলে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান। গোলমালের দায় প্রকাশ্যেই তিনি শান্তনু-অসীমের উপরে চাপান। কয়েক দিন কেটে গেলেও ওই ফ্লেক্স না সরায় রবিবার তিনি উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন। কলেজে তৃণমূল সরাসরি রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তোলেন বিরোধীরাও। গোটা বিষয়টি নিয়ে সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরেই দলের রাজ্য নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।

নবীনবাবু বলেন, ‘‘আমরা চাই, কলেজে পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকুক। অধ্যক্ষকে হেনস্থায় আমাদের দলের কেউ ছিলেন কিনা, থেকে থাকলে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement