Pandua

এলেন না অভিষেক, মন খারাপ তৃণমূল কর্মীদের

বুধবার পোলবার কর্মসূচির পরে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পান্ডুয়ায় জিটি রোডের তেলিপাড়া থেকে কাকলি সিনেমাতলা পর্যন্ত অভিষেকেররোড-শো’য়ের কথা ছিল।

Advertisement

সুশান্ত সরকার 

পান্ডুয়া শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ ০৮:৫১
Share:

মঙ্গলবার রাত জেগে পতাকা লাগাচ্ছেন কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

‘তিনি’ আসবেন বলে সাজছিল সারা এলাকা। রাতারাতি সংস্কার হয়ে গিয়েছিল এবড়ো-খেবড়ো রাস্তা। গত ৪০ বছরের বিদ্যুতের তারনিয়ে সমস্যাও মেটানো হয়েছিল তড়িঘড়ি করে। অথচ বুধবারসেই পান্ডুয়াতেই তাঁর রোড-শো বাতিল করে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

বুধবার পোলবার কর্মসূচির পরে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পান্ডুয়ায় জিটি রোডের তেলিপাড়া থেকে কাকলি সিনেমাতলা পর্যন্ত অভিষেকেররোড-শো’য়ের কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার গভীর রাতে তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, তাঁর কর্মসূচিতে কিছু কাটছাঁট হয়েছে। তিনি পোলবার কর্মসূচির পরই চলে যাবেনবলাগড়ের অধিবেশনে।

আর এতেই মন খারাপ পান্ডুয়ার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। তাঁরা জানান, গত কয়েক দিন ধরে দাবদাহ অগ্রাহ্য করে রাস্তার ধারে ব্যানার টাঙিয়েছেন। রাত জেগে মহানাদথেকে পান্ডুয়ার খন্যান মোড় অবধি কয়েক কিলোমিটার জুড়ে দলের পতাকা, অভিষেকের পোস্টার লাগিয়েছেন। সেই উদ্যোগ ভেস্তে গেল বলেই আক্ষেপ তাঁদের।দলের নিচু তলার কর্মী বিশু ঘোষ বলেন, ‘‘নেতাকে দেখতে পাব ভেবে সময়জ্ঞান করিনি। রাত জেগে কাজ করেছি। পরে জানতে পারলাম, উনি আসবেন না। আসলে নেতারা আমাদের কথা ভাবেন না।’’ তুহিন কাজি নামে আর এক কর্মীর গলাতেও হতাশা। তিনি বলেন, ‘‘আদিবাসী নাচের দল-সহ ধামসা-মাদল বাদকদের সব বুকিং আমি করে দিয়েছিলাম। পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে তৃণমূল সমর্থকদের হাজির থাকতে বলেছিলাম। কিছুই তো কাজেএল না!’’

Advertisement

বিরোধীরা আবার অভিষেকের এই কর্মসূচি বাতিলের জন্য দায়ী করছেন তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই। পান্ডুয়ার প্রাক্তন বাম বিধায়ক আমজাদ হোসেনের কটাক্ষ, ‘‘এই এলাকায় গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দিতে পারবেন না বুঝেই অভিষেক এখানে আসেননি। আসলে উনি বিষয়টি থেকে পালাতে চেয়েছেন।’’ একই সুর বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক সভাপতি তুষার মজুমদারেরও। তিনি বলেন, ‘‘মানুষকে এ ভাবেই তৃণমূল হতোদ্যম করে। অভিষেকের কাজতার প্রমাণ। তবে এর ফাঁকে এলাকার কিছু উন্নয়ন হয়ে গেল। এটা এলাকাবাসীর লাভ।’’

বিরোধীদের বক্তব্যকে আমল দিতে নারাজ এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। ব্লক সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘মঙ্গলবার গভীর রাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এত বড় কর্মসূচিতে এইটুকু বদল হতেই পারে। এলাকার কর্মীরা কাছের এলাকায় গিয়ে অভিষেককে দেখে এসেছেন। তাঁদের কোনও আফশোস আছে বলে শুনিনি।’’

হুগলি জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, ‘‘গরমের কারণে এই রদবদল। দলীয় কর্মীদের মন খারাপ অস্বাভাবিক নয়। তার জন্য পরবর্তী কাজের উদ্যোমে ভাটা পড়বে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement