রবিবার ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘর ওয়াপসি’ নিয়ে এ বার ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীবের নাম না করেই প্রসূনের হুঁশিয়ারি, দলে ফিরলেও নিজের লোকসভা এলাকা হাওড়ায় তাঁকে ঢুকতে দেবেন না। রাজীবের তৃণমূলে ফেরা তিনি যে মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না, সে কথাও সাফ জানিয়েছেন প্রসূন।
রবিবার দুপুরে ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কর্মীদের বিজয়া সম্মিলনী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে রাজীবের নাম না করে তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন। নিজের ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের দুঃসময়ে যাঁরা দল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা তৃণমূলের নামে যা নয় তাই কুৎসা করেছিলেন। আজ তিনি দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) ছবি নিয়ে ঘুরছেন। তিনি বলছেন, ‘আমাকে ভুল বোঝানো হয়েছিল।’ ৫০ বছরের লোক হয়ে বলছেন তাঁকে ভুল বোঝানো হয়েছে। দলের প্রতি ভালবাসার নামে ন্যাকামো করা হচ্ছে!’’ সেই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘আমি কিছুতেই তাঁকে হাওড়ায় ঢুকতে দেব না।’’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব। বিধানসভায় গিয়ে ডোমজুড়ের বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার সময় তাঁর হাতে ধরা ছিল তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। বিজেপি-তে যোগ দিলেও তা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পাঁচ মাসের বেশি পার হওয়ার পর ৩১ অক্টোবর নিজের পুরনো দলেই ফিরে আসেন তিনি। সে দিন আগরতলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় দলে যোগদান করেন রাজীব। সে দিনই রাজীবের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন হুগলির শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীবকে আপাদমস্তক দুর্নীতিপরায়ণ বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন।
কল্যাণের পর এ বার রাজীবকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও সরব হয়েছেন প্রসূন। তিনি বলেন, ‘‘এই সব লোককে কোনও ভাবেই মন থেকে মেনে নিতে পারব না। দল যদি বলে, তা হলে আমি সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করে দিদির পায়ের কাছে বসে থাকব। দল তাঁকে নিলেও তা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারব না।’’