জাকির হোসেন। ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে শাসকদলকে কোণঠাসা করতে রাজ্য জুড়ে তৎপর বিরোধীরা। এই পরিস্থিতির জন্য দলের একাংশকে দায়ী করলেন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন। তাঁর মন্তব্য, দলের কিছু নেতা ‘চুরি’ করেছেন। তার দায় এখন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিতে হচ্ছে! শনিবার দলীয় কর্মসূচিতে জাকির যখন এই কথা বলছেন, সেই সময় মঞ্চেই বসা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (ববি)। এ নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিজেপির বক্তব্য, শাসকদল নিজেই এখন ‘দুর্নীতি’র কথা স্বীকার করে নিচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, ফিরহাদের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’দের নামের তালিকা প্রকাশেরও দাবি জানিয়েছে সিপিএম।
সাগরদিঘি উপনির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক ভিত শক্ত করতে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদে এসেছেন ববি। জঙ্গিপুরে সাংগঠনিক জেলার পদাধিকারীদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকও করেন তিনি। সেই মঞ্চ থেকেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ তুলে সরব হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চুরি করেছি। আমাদের প্রধানেরা চুরি করেছেন। আর তার দায় নিতে হচ্ছে দিদিকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)। দিদি স্বচ্ছ মানুষ। আমরা দিদির বদনাম হতে দেব না।’’ তাঁর মত, দলে যাঁরা ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা জরুরি। তাতে দলেরই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার হবে।
জাকিরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ দলে দুর্নীতিগ্রস্ত থাকলে তাঁদের নামের তালিকা প্রকাশ করুন না। আপনাদের কি সেই হিম্মত আছে?’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বলেন, ‘‘এত দিন আমরা অভিযোগ করতাম। এখন তৃণমূল নিজেই স্বীকার করছে যে, ওরা দুর্নীতিগ্রস্ত। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে দল?