এসমাতারা বেগম। —নিজস্ব চিত্র।
আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দিতে এক ব্যক্তির থেকে টাকা গুনে নিচ্ছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য! নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ওঠা এমনই এক ভিডিয়ো ঘিরে ছড়িয়েছে বিতর্ক। ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে হুগলির চণ্ডীতলার এক পঞ্চায়েত সদস্যকে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে চণ্ডীতলা দুই নম্বর ব্লকের জনাই পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য এসমাতারা বেগমকে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে তিনি টাকা গুনছেন। টাকা গোনা শেষ হওয়ার পর উল্টোদিকে থাকা এক ব্যক্তি তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘‘ঠিক আছে তো?’’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, ঠিক আছে।’’ এর পর ওই ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘’পয়সা নিচ্ছেন, একটা লিখিত করে দেবেন না?’ ভিডিয়োয় এসমাতারাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘কিচ্ছু করতে হবে না। তুমি একটা কথা বলে দেবে, সদস্যের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। সদস্য কাগজ করে দিচ্ছে। এই একটা কথা বলবে।’’ ফোনে ওই সময়ের ভিডিয়ো করা হচ্ছে কি না তাও ওই ব্যক্তির থেকে জানতে চান এসমাতারা। এর পর ওই ব্যক্তিকে আশ্বাস দেন , ‘‘তোমাকে কেউ বাধা দিলে, আমাকে জানাবে। ভয় পাওয়ার দরকার নেই।’’
এতমাতারার ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই স্বাভাবিক ভাবেই আক্রমণ শানিয়েছে ওই পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম নেতা অপূর্ব পাল। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘এটা নতুন কিছু নয়। তৃণমূল দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছে গোটা রাজ্যকে। ওখানে আগে যিনি সিপিএম সদস্য ছিলেন তাঁকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। আমরা দেখতে চাই তৃণমূল ওঁর বিরুদ্ধে কী করে। যদিও ওরা এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে এমন আস্থা আমাদের নেই।’’ একই সুরে বিজেপি নেতা শ্যামল বসুর অভিযোগ, ‘‘আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দিতে কাটমানি নিচ্ছেন তৃণমূল সদস্য।’’
এ নিয়ে তৃণমূলের হুগলি জেলার সভাপতি স্নেহাশিষ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হবে। ঘটনা সত্যি হলে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে। দলকে জানিয়েছি। তৃণমূলে এ সব চলবে না।’’