মৃত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা মৌসুমী পাল। —ফাইল চিত্র।
প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরে আত্মঘাতী হলেন তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যা। শুক্রবার হাওড়া জগৎবল্লভপুরের মাজুতের ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জগৎবল্লভপুরের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা ছিলেন মৌসুমী পাল। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ ৩৩ বছরের ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার ঝুলন্ত দেহ মেলে তাঁর ঘর থেকে। মৃতার পরিবারের লোকেদের দাবি, মৌসুমীর প্রেমিক ছিলেন ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান গৌতম বেরা। ওই তৃণমূল নেতার সঙ্গে সঙ্গে মৌসুমীর সম্পর্কের অবনতি হয়। তার জেরেই পঞ্চায়েত সদস্যা আত্মহত্যা করেছেন। মৃতার আত্মীয়া সুপ্রীতি পালের কথায়, ‘‘শুক্রবার সকালে গৌতম ফোন করে বাড়িতে। বলে, মৌসুমী আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে। তাকে যেন ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয়। দৌড়ে গিয়ে আমরা বাড়ির লোকজন মৌসুমীকে ওর ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করি।’’ তিনি জানান, প্রথমে মৌসুমীকে গাববেড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতার পরিবারের লোকজনের দাবি, কয়েক বছর ধরে গৌতম এবং মৌসুমীর সম্পর্ক। আগামী বছরের প্রথম দিকে তাঁদের বিয়ের রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনও কারণে দু’জনের মধ্যে টানাপড়েন চলছিল। তবে কী কারণে মৌসুমী আত্মহত্যা করেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও মৌসুমীর মৃত্যুর জন্য পরিবারের লোকেরা সরাসরি গৌতমকেই দায়ী করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার কারণেই তাঁদের মেয়ে ওই পথ বেছে নিয়েছেন।
অন্য দিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে এ নিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর গৌতমকে অবশ্য এলাকায় দেখা যায়নি। তাঁর মোবাইলও বন্ধ পাওয়া গিয়েছে।