—প্রতীকী চিত্র।
জাতীয় রাজনীতিতে তারা যুযুধান। কিন্তু সাঁকরাইলের সারেঙ্গা পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়তে তৃণমূলের সাহায্য নিতে হল বিজেপিকে!
শুক্রবার এই পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধান পদে ভোটাভুটিতে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হওয়ায় ওই ‘সমঝোতা’ হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের। একই দাবি সিপিএমেরও।
এই পঞ্চায়েতে মোট আসন ২৪। তার মধ্যে ভোট গণনার দিনে কারচুপির অভিযোগ ওঠায় ছ’টি আসনে ফের ভোটগ্রহণের নির্দেশ দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই ছ’টি আসনে অবশ্য এখনও ভোটের দিনক্ষণ স্থির হয়নি। এ বাদে ১৮টি আসনে ফলাফলের ভিত্তিতেই বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৮টি আসনের মধ্যে বিজেপির রয়েছে ৬টি, তৃণমূলের ৫টি, সিপিএমের ৫টি এবং ২টি আইএসএফের।
প্রধান এবং উপপ্রধান নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত নেয় ব্লক প্রশাসন। ভোটাভুটিতে প্রধান এবং উপপ্রধান পদে বিজেপি প্রার্থী করে যথাক্রমে সুজাতা টকাল এবং দীপা নস্করকে। সিপিএম-আইএসএফ জোট এই দু’টি পদে প্রার্থী করে যথাক্রমে আজমিরা বেগম এবং শেখ নাজিমকে।
ভোটাভুটির ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, প্রধান পদে বিজেপির সুজাতা ৯ ভোটে এবং উপপ্রধান পদে দীপা ৭ ভোটে জিতে গিয়েছেন। তৃণমূল এবং বিজেপির একজন করে সদস্য ভোটাভুটি বয়কট করেন। এ থেকেই বিজেপি প্রার্থীদের তৃণমূলের সাহায্য করার বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে বলে দাবি সিপিএমেরও।
সিপিএম নেতা সমীর মালিক বলেন, ‘‘তৃণমূলের সব সদস্য যদি ভোটদানে বিরত থাকতেন, তা হলে সিপিএম-আইএসএফ জোট বোর্ড গঠন করত। কিন্তু মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বললেও তৃণমূল আমাদের জোটকে হারাতে সরাসরি বিজেপিকে সমর্থন করল।’’
তৃণমূলের সঙ্গে কোনও রকম আঁতাঁতের কথা মানেনি বিজেপি। বিজেপি নেতা বিকাশ নস্কর বলেন, ‘‘যেহেতু ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত হয়েছে, তাই আমরা সব দলের সদস্যদের কাছেই আবেদন করেছিলাম দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গড়তে প্রধান-উপপ্রধান পদে আমাদের প্রার্থীকে ভোট দিতে। কারা আমাদের গোপন ব্যালটে ভোট দিয়েছেন, বলতে পারব না। সিপিএমও তো আমাদের ভোট
দিতে পারে।’’ তাঁদের কেউ
বিজেপিকে সমর্থন করেনি বলে দাবি করেছেন সমীর। সাঁকরাইলের তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পাল বলেন, ‘‘বিষয়টি বিস্তারিত জানি না। আমাদের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে
মন্তব্য করব।’’